এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ভুলের দায় কার?

মাছুম বিল্লাহ |

গত কয়েক বছর প্রশ্নপত্র ফাঁস কিংবা এ-সংক্রান্ত গুজবে জর্জরিত ছিল পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ফটোকপির দোকান, শিক্ষক পরিচালিত কিছু কোচিং সেন্টার, এমনকি শিক্ষকরাও পরীক্ষার আগেই শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন পৌঁছে দিতেন আর অনেক অভিভাবকও বিষয়টিকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছিলেন। তারা ফাঁস হওয়া প্রশ্নের পেছনে ছুটতেন। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় একাধিকবার পরীক্ষা স্থগিত বা বাতিল করতে হয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে। ২০১৮ সালে সব সংস্থার সম্মিলিত চেষ্টায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে প্রশ্নপত্র ফাঁস।

এবার আতঙ্ক হিসেবে দেখা দিয়েছে ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা। ৩ ফেব্রুয়ারি বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার মধ্য দিয়ে সারা দেশে ২০২০ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র পত্রিকা দৈনিক শিক্ষার তথ্যমতে,  প্রথম দিনের পরীক্ষায় বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রায় পাঁচ শতাধিক পরীক্ষার্থীকে ভুল প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। বরিশাল, দিনাজপুর ও রাজশাহী বোর্ডের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে পাঁচ শতাধিক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়া হয়েছে ভুল প্রশ্নে। আগের বছরের অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করা প্রশ্নপত্র দেয়া হয়েছে এবারের নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের। আবার কোথাও কোথাও এবারের নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র দেয়া হয়েছে আগের বছরের অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের। এমন ভুলের শিকার হওয়া পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়েছে পড়েছেন। পরীক্ষাকেন্দ্র ও প্রশ্নপত্র বিতরণের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টদের কেউ কেউ বিষয়টিকে সামান্য ভুল হিসেবে দাবি করলেও এ ধরনের ভুল ছোট করে দেখার উপায় নেই।

এ বোর্ডগুলোর বিভিন্ন কেন্দ্রে ২০১৮ সালের অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রণয়ন করা নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন ২০২০ সালের নিয়মিত কয়েকজন পরীক্ষার্থীকে সরবরাহ করা হয়, আবার ২০২০ সালের নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রণয়ন করা নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন ২০১৮ সালের অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হয়। কোথাও কোথাও পরীক্ষা চলাকালীন বিষয়টি পরীক্ষার্থীদের নজরে এলে তাত্ক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেন কেন্দ্র সচিব। তবে যারা সম্পূর্ণ পরীক্ষাটিই ভুল প্রশ্নে দিয়েছে, তাদের আর পুনরায় পরীক্ষা নেয়া হয়নি। লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী শহীদ আবুল কাশেম উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে ১৯৩ জন নিয়মিত শিক্ষার্থীকে ২০১৮ সালের অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য করা প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়। নীলফামারীর রাবেয়া বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২০১৮ সালের অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র নিয়মিত ৯৮ জন পরীক্ষার্থী ১ ঘণ্টা পরীক্ষা দিয়েছে। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার আফতাবগঞ্জ বিইউ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র নিয়মিত অন্তত ১৫ পরীক্ষার্থীকে সরবরাহ করা হয়। বরিশালের হালিমা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের অন্তত ২০ জন পরীক্ষার্থীকে ভুল প্রশ্ন সরবরাহ করা হয়। ঠাকুরগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রেও একই ঘটনা ঘটে।

টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় অংশ নেয় ৯০৭ শিক্ষার্থী। তাদের সৃজনশীল অংশে ৩ নম্বর সেট (সোয়াত) দিয়ে পরীক্ষা নেয়ার কথা থাকলেও তাদের দেয়া হয় ১ নম্বর সেট (কাশ্মীর)। ময়মনসিংহ বোর্ডে সব শিক্ষার্থীর এক সেটে পরীক্ষা নেয়া হলেও শুধু কেন্দ্র সচিবের ভুলে একটি কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে আরেক সেটে পরীক্ষা। বরিশালে হালিমা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও বাংলা প্রথম পত্রের নৈর্ব্যক্তিক অংশে ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হয় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর। পরীক্ষার্থীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। নেত্রকোনার মদন উপজেলার আদর্শ কারিগরি বাণিজ্য কলেজ কেন্দ্রেও বাংলা বিষয়ের এসএসসি ভোকেশনাল  পরীক্ষায় ৩০ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়া হয় পুরনো সিলেবাসে। ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে এক কেন্দ্র সচিব বলেন, রাস্তায় প্রচণ্ড যানজট থাকায় কেন্দ্রে ঢুকতে দেরি হয়। তাড়াতাড়ি প্রশ্নপত্র বিলি করার সময় একটি কক্ষে ভুল করে পুরনো প্রশ্ন চলে যায়। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই পাল্টে নতুন প্রশ্নপত্র দেয়া হয়।

গত বছর ৯ ফেব্রুয়ারি যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের একটি অংশে পরের দিনের ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ের প্রশ্নপত্র ছাপা হয়। ফলে গত বছর আইসিটি পরীক্ষার পাশাপাশি আরো তিনটি পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল। কিছু কেন্দ্রে সময় বাড়িয়ে দেয়া হলেও কোথাও কোথাও সময়ও বাড়ানো হয়নি। আবার কোথাও কোথাও পুরনো প্রশ্নেই পরীক্ষা শেষ করতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। আবার কোনো কোনো কেন্দ্রে সেট বদল করেই পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। এতে অনেক শিক্ষার্থীই পূর্ণ প্রস্তুতি শেষেও যথাযথ ফল অর্জন করতে পারবে না। কোথাও কোথাও ১ ঘণ্টা ২৫ মিনিট পর নতুন প্রশ্ন দেয়া হলেও নতুন খাতা দেয়া হয়নি। শুধু আগের উত্তর কেটে দিয়ে নতুন পরীক্ষা দিতে বলা হয়। এটি তো আমরা সবাই জানি, পরীক্ষা শুরু থেকে প্রথম ১ ঘণ্টায় মন-স্বাস্থ্য সবই ভালো থাকে এবং তখন যা লেখা যায়, তার পরের ২ ঘণ্টায় তা করা যায় না। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাবলিক পরীক্ষা, নিয়োগ পরীক্ষা, ভর্তিসহ নানা পরীক্ষায় শুধু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতেই গ্রেফতার হয় প্রায় ১৯০ জন। এবারো এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে সাতজনকে আটক করা হয়। পাবলিক পরীক্ষাগুলোর সঙ্গে মিশে যাওয়া এসব ভূত যেন তাড়ানোই যাচ্ছে না।

দৈনিক শিক্ষায় প্রকাশিত অপর এক প্রতিবেদনে জানা যায়, বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা হয় ১০০ নম্বরের, তার মধ্যে ৭০ নম্বরের সৃজনশীল, আর ৩০ নম্বরের এমসিকিউ। ৭০ নম্বরের সৃজনশীল প্রশ্নের মধ্যে ৪০ নম্বরই হুবহু বাজারি গাইড বই থেকে তুলে দেয়া হয়েছে, যা হওয়ার কথা নয়। এছাড়া এমসিকিউ অংশের কয়েকটি প্রশ্নের রয়েছে একাধিক উত্তর। ভুল প্রশ্নও রয়েছে। এতে বিভ্রান্ত হয়েছে পরীক্ষার্থীরা। ‘যারা বাংলা বিষয়ে স্বতন্ত্রভাবে একটা প্রশ্ন করতে পারেন না, তারা শিক্ষা বোর্ড চালান কেমন করে? গাইড বই থেকে হুবহু প্রশ্ন তুলে দেয়ায় অভিযুক্তদের লজ্জা-শরম নেই, কিছুদিন পর পরই তারা এটা করেন’—এ কথা বলেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এদিকে নাগরিক টিভির সিইও আবদুন নূর তুষার বলেছেন, ‘প্রশ্ন তো প্রশ্নই। কেননা কোনো না কোনো বইয়ের কোথাও না কোথাও কেউ না কেউ এ প্রশ্নটা শিখেছে, পড়েছে বা বলেছে। তাই গাইডে প্রশ্ন আছে বলে সেটি করা যাবে না, তাহলে সব বিসিএসের গাইড বই বাতিল করতে হবে। কারণ বিসিএসের সব প্রশ্ন আগে থেকে পাওয়া যায়।

এসব গাইড থেকে তো পুরনো প্রশ্ন আসেই।’ বোর্ডের করা প্রশ্ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বোর্ডও পুরনো প্রশ্ন পুনরাবৃত্তি করে এবং এটা হয়েই থাকে।’ ওই টক শোতে লাইভে যুক্ত হন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সেখানে গাইড বই থেকে হুবহু প্রশ্ন তুলে দেয়ার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ সমস্যা সমাধানে সরকার শতভাগ তত্পর থাকবে এবং ষোলো আনাই সমস্যা এড়াতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, প্রতি বছর নিয়মিত শিক্ষার্থীর সঙ্গে অনিয়মিতরাও পরীক্ষা দেয়। মন্ত্রণালয়ের কঠোর নির্দেশনা আছে, নিয়মিত-অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের ভিন্ন কক্ষে পরীক্ষা নিতে হবে। কিন্তু কেন্দ্র সচিব এ নির্দেশনা অনুসরণ করেননি বলেই বিভ্রাট হয়েছে। আর প্রশ্ন তৈরিতে ভালো শিক্ষকের অভাব রয়েছে, সেটি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। আমরা জানি, দুষ্ট রাজনীতির ছোঁয়া সব জায়গায়ই লেগেছে। তাই সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করব, বোর্ডের প্রশ্ন যারা আসলেই করতে পারেন, তাদের দ্বারাই আপনারা প্রশ্নপত্র তৈরি করান, এখানে রাজনীতির চিন্তা করলে ঘটনা এ রকম হবেই। তাতে দেশের ক্ষতি ছাড়া লাভ হয় না। স্থানীয় পর্যায়ে পরীক্ষা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

ভুল প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা নিশ্চিতভাবেই পরীক্ষাকেন্দ্র ও প্রশ্নপত্র ব্যবস্থাপনায় শিক্ষা কাঠামোর বড় ধরনের দুর্বলতারই পরিচায়ক। ২০১৯ সালেও একই ঘটনা ঘটেছে, এবার কেন ঘটল? শিক্ষাবিদ মনজুরুল ইসলাম বলেছেন, ‘এসএসসির মতো এত বড় একটি পরীক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাজের চর্চা বা কর্মনৈতিকতার অভাব রয়েছে। এই ভুল প্রশ্ন সরবরাহে আমি সরাসরি সরকার বা মন্ত্রণালয়কে দোষ দেব না। যারা পরীক্ষা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত থাকেন, তাদের চূড়ান্ত অবহেলা রয়েছে। তাদের পেশাদারি, কর্মনৈতিকতা ও প্রশিক্ষণের অভাব রয়েছে। এ তিনটার অভাবে অনেক বড় প্রকল্পও মুখ থুবড়ে পড়েছে। আর চার নম্বর বিষয় হচ্ছে দুর্নীতি। দুর্নীতির কারণে কর্মনৈতিকতা থাকে না। কর্মনৈতিকতা না থাকলে পেশাদারি থাকে না। আর পেশাদারির অভাব থাকলে বাদবাকি সমস্যাগুলো তৈরি হয়।’ এখানেও তা-ই হয়েছে।

আমরা এ ধরনের কার্যাবলির দ্বারা সংবেদনশীল মনের ওপর আঘাত দিচ্ছি। তাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি সংকট সৃষ্টি করছি। যারা পরীক্ষায় বসছে, তাদের বয়স ১৫, ১৬ কিংবা ১৭ বছর। তারা যদি এক বিষয়ের প্রস্তুতি নিয়ে এসে ভুল প্রশ্ন পায়, তাহলে মনটাই তো ভেঙে যায়। আর যারা এ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটি সংখ্যা দিয়ে বিবেচনা করা যাবে না যে ২০ লাখের মধ্যে মাত্র হাজার খানেক শিক্ষার্থী বা তার বেশি আক্রান্ত হয়েছে। এখানে বিষয়টি তা নয়। এক কলসি দুধে যেমন এক ফোঁটা বিষ্ঠা পড়লে পুরো দুধই নষ্ট হয়ে যায়, এখানকার ব্যাপারটাও কিন্তু তা-ই।

আমাদের বলতে দ্বিধা নেই যে দেশ শিক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে। তদুপরি প্রায়ই নানা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এক্ষেত্রে ঘটেই চলছে। সেগুলোর সঙ্গে আবারো যুক্ত হলো আরেকটি অধ্যায়। এত বড় পাবলিক পরীক্ষা, যেখানে সাড়ে ২০ লাখ পরীক্ষার্থী, এর ব্যবস্থাপনা একটি বিশাল ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোনোভাবেই এটিকে কম গুরুত্ব দেয়ার বিষয় নয়। এ ধরনের ঘটনা তো আর কখনো শোনা যায়নি, যেটি এবার হলো যে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে, তাদের ডেকে এনে আবার পরীক্ষায় বসানো হয়েছে। পরীক্ষা মানেই টেনশন, পরীক্ষা মানেই মানসিক অস্থিরতা। এসব দূর করার জন্য যেকোনো পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিষ্ঠানে আনন্দঘন কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হয়, যেখানে সবাই উত্ফুল্ল থাকবে, হাসবে, গাইবে, নাচবে। যাতে শিক্ষার্থীদের মানসিক প্রশান্তি ফিরে আসে। আমাদের তো সে ধরনের কোনো ব্যবস্থা নেই, বরং আছে উল্টো ব্যবস্থা। পরীক্ষার আগে সবকিছু বন্ধ, শুধু নাক-কান বন্ধ করে বই পড়ো। সেই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ৩ ঘণ্টা পরীক্ষার হলে, যাতায়াতে আরো ২-৩ ঘণ্টা পার করার পর বাড়িতে ফিরে গিয়ে আবারো যদি পরীক্ষার হলে ফিরে যেতে হয় পুনরায় পরীক্ষায় বসার জন্য, সেটি ক্ষমাযোগ্য অপরাধ নয়। আমরা জানি এবং দেখেছি যে পাবলিক পরীক্ষার সঙ্গে শুধু শিক্ষকরা জড়িত নন, এর সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনও মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এখানে কাদের গাফিলতি কিংবা ভুলের কারণে হয়েছে, সেটি দেখা প্রয়োজন। 

 

লেখক: মাছুম বিল্লাহ, ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচিতে কর্মরত সাবেক ক্যাডেট কলেজ ও রাজউক কলেজ শিক্ষক।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.002532958984375