এসএসসিতে নিয়মিত ও অনিয়মিতদের পরীক্ষা আলাদা কক্ষে, ফের নির্দেশনা জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক |

আলাদা কক্ষে নিয়মিত-অনিয়মিত এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল শিক্ষা বোর্ডগুলো। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি পরীক্ষায় নতুন ও পুরাতন সিলেবাসের নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রশ্নপত্র বিতরণ ও পরীক্ষা গ্রহণে তালগোল পাকিয়ে ফেলার পর এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সে নির্দেশনা মানেননি অধিকাংশ কেন্দ্র সচিব।  তাই, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি পরীক্ষায় আবারও প্রশ্নপত্র বিতরণে ভুল হয়েছে। এসএসসির প্রথম দিনে সারাদেশের বেশ কিছু কেন্দ্রে পুরানো সিলেবাসের প্রশ্নে এসএসসি পরীক্ষা নেয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কায় পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এমন প্রেক্ষাপটে ফের আলাদা কক্ষে নিয়মিত-অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। বোর্ড থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা কেন্দ্র সচিবদের পাঠানো হয়েছে। 

মঙ্গলবার বোর্ড থেকে দেয়া নির্দেশনায় বলা হয়, নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের আসন বিন্যাস পৃথকভাবে ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের যথাযথভাবে চিহ্নিত করে শিক্ষা বর্ষ অনুযায়ী যে সিলেবাসে পরীক্ষা দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে সে মোতাবেক প্রশ্নপত্র বিতরণ করতে হবে। ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষার্থীদের ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের সিলেবাসে এবং  ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষার্থীদের ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের সিলেবাস অনুযায়ী প্রণীত প্রশ্নে পরীক্ষা নিতে হবে। 

আরও পড়ুন: নিয়মিত ও অনিয়মিতদের পরীক্ষা আলাদা কক্ষে

নির্দেশনাও আরও উল্লেখ করা হয়, কোন কারণে পরীক্ষা শুরু হকে দেরি হলে অবশিষ্ট সময়ের সাথে পূর্ণসময় যোগ করে পরীক্ষার্থীদের দিতে হবে ও বিষয়চি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানাতে হবে। বহুনির্বাচনী ও রচনামূলক পরীক্ষার ওএমআর শিটের ওপর কোন রকম লেখা বা দাগ দেয়া যাবে না। পরীক্ষার প্রথম দুই ঘন্টা কোন পরীক্ষার্থী কেন্দ্র ত্যাগ করতে পারবেন না। বিশেষ কারণে পরীক্ষা প্রশ্ন নিয়ে যেতে পারবে না। পরীক্ষা শেষে প্রশ্ন তাকে দেয়া যেতে পারে। কেন্দ্রে কেউ মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। কেন্দ্র সচিব একটি ক্যামেরাবিহীন সাধারণ মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন। 

চলতি বছর ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। গত বছরের মতো এবারো প্রথম দিনেই ভুল প্রশ্ন সরবরাহসহ বেশ কিছু জটিলতার মধ্য দিয়েই এ পরীক্ষা শুরু হয়। কোথাও ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দেয়ার পর বাড়ী থেকে ডেকে এনে সঠিক প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। কেউ কেউ কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ করেছেন। গাইড বই থেকে হুবহু তুলে দেয়া হয়েছে ঢাকা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্রের অধিকাংশ প্রশ্ন, এছাড়া এমসিকিউ অংশে এক প্রশ্নের একাধিক উত্তর রয়েছে। 

এর আগে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২ ফেব্রুয়ারি গতবছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা প্রথম দিনে বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষায় নতুন ও পুরাতন সিলেবাসের পরীক্ষার্থীদের ভুলভাবে প্রশ্ন বিতরণ ও পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় সারাদেশের বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে। সে জটিলতা এড়াতে সেবছরের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা শিক্ষাবোর্ড বিজ্ঞপ্তি জারি করে ভিন্ন ভিন্ন কক্ষে ভিন্ন সেশনের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্র সচিবদের। কিন্তু সে নির্দেশনা না মানায় ২০২০ খ্রিষ্টাবেদর এসএসসি পরীক্ষায়ও একই জটিলতা সৃষ্টি হয়। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ - dainik shiksha স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে - dainik shiksha শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.005126953125