এসএসসি পরীক্ষায় এ বছর ৮ টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের পাসের হার ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ ভাগ। জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ৯৪ হাজার ৫৫৬ জন। ৮টি সাধারণ বোর্ড, মাদরাসা এবং কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে পাসের হার ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ।
গতবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১০টি শিক্ষা বোর্ডের গড় পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ ভাগ। ১০ বোর্ডে পাস করেছিল ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ১শ ৪ জন।
গতবারের তুলনায় এ বছর পাসের হার বেড়েছে ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ ভাগ বাড়লেও জিপিএ ফাইভ কমেছে। এবছর জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৪। গত বছর যার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১০ হাজার ৬শ ২৯ জন।
সোমবার (৬ মে) সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ফল ঘোষণা করেন। দুপুর ২টা থেকে শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট, মোবাইলের এসএমএস ও নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে ফল জানতে পারবেন।
মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মান ও খাতা মূল্যায়ন নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে শিক্ষাবিদদের মধ্যে। তবু বিগত বিএনপি-জামাতা আমল থেকে সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের সাথে মাদরাসা ও কারিগরিকে সমমান হিসেব করে পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়ে আসছে। ফল প্রকাশের সময় কারিগরি ও মাদরাসার পরীক্ষাকে সাধারণ ধারার সমমান দাবি করা হচ্ছে।
এ বছর প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, অংশগ্রহণ ও পাসের হারে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। ছাত্রের তুলনায় ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ ছাত্রী বেশি পাস করেছে। ছাত্রের তুলনায় ৫২ হাজার ৬৯২ জন ছাত্রী বেশি অংশগ্রহণ করে এবং ৫৬ হাজার ৬৩৩ জন ছাত্রী বেশি পাস করেছে।
মাদরাসা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৩ শতাংশ। গত বছর ছিল ৭০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। পাসের হার বেড়েছে ১২ দশমিক ১৪ শতাংশ।
কারিগরিতে পাসের হার ৭২ দশমিক ২৪ শতাংশ। গত বছর ছিল ৭১ দশমিক ৯৬ শতাংশ। পাসের হার বেড়েছে শূন্য দশমিক ২৮ শতাংশ। জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ৪ হাজার ৭৫১ জন।
ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৬২ শতাংশ। রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৯১ দশমিক ৬৪ শতাংশ। কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৮৭ দশমিক ১৬ শতাংশ। যশোর বোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ১১ শতাংশ। বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৭৭ দশমিক ৪১ শতাংশ। সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক ৮৩ শতাংশ। দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।
এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২১ লাখ ৩৯ হাজার ৫৬৪ জন। এর মধ্যে মেয়ে পরীক্ষার্থী ১০ লাখ ৬৬ হাজার ২৭৫ জন এবং ছেলে পরীক্ষার্থী ১০ লাখ ৭৩ হাজার ২৮৯ জন।
অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২১ লাখ ২৭ হাজার ৮১৫ জন। তার মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ৬৮ হাজার ৫২৭ এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৫৯ হাজার ২৮৮ জন।
পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ১১ হাজার ৭৪৯ পরীক্ষার্থী। তার মধ্যে ছাত্র ৪ হাজার ৭৬২ এবং ছাত্রী ৬ হাজার ৯৮৭ পরীক্ষার্থী।
উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৯৪১ এবং ছাত্রী ৮ লাখ ৮২ হাজার ২২৪ জন।
অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৬৫০ জন। এর মধ্যে ছাত্র ২ লাখ ১ হাজার ৫৮৬ জন এবং ছাত্রী ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪ জন।
২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের তুলনায় এ বছর পরীক্ষার্থী বেশি ছিল ১ লাখ ৩ হাজার ৪৩৪ জন। এবার আটটি সাধারণ বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার্থী ১৭ লাখ ১০২ জন। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে ৩ লাখ ১০ হাজার ১৭২ জন এবং কারিগরিতে ১ লাখ ২৫ হাজার ৫৯ জন রয়েছে। মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৯৭ ও প্রতিষ্ঠান ২৮ হাজার ৬৮২। এ ছাড়া বিদেশি আটটি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৪৩৪ জন পরীক্ষা দিয়েছে।
আরও পড়ুন