বিলুপ্ত সেকায়েপ প্রজেক্টের অতিরিক্ত শ্রেণি (এসিটি) শিক্ষকদের অনশন কর্মসূচি চলছেই। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের ফুটপাথে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে গত ৩ ফেব্রুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সকাল সন্ধ্যা অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। কিন্তু অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি ৯ দিনে গড়ালেও সরকারের পক্ষ থেকে কেউ যোগাযোগ করেনি বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।
তবে সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে একজন সংসদ সদস্য জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন। সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোস্তফা লুৎফুল্লাহ জাতীয় সংসদে এসিটিদের দাবির বিষয়টি তুলে ধরার আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ এসিটি অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি রাফিউল ইসলাম রাফি দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, ৯ দিনের অবস্থান কর্মসূচি ও অনশনে প্রায় ২৬ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়েছেন। এদের মধ্যে ৬ জন নারী শিক্ষক রয়েছেন। অনেকেই অসুস্থ হয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে স্যালাইন নিচ্ছেন। চাকরি স্থায়ীকরণ অথবা বিনাশর্তে নতুন এসইডিপি প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তকরণের দাবি জানান তিনি।
এর আগে এমপিওভুক্তির দাবিতে গত বছর তারা কয়েকদফা অবস্থান কর্মসূচি, মানবন্ধন ও শিক্ষা ভবন ঘেরাও করেছিলেন। বিলুপ্ত সেকায়েপের প্রকল্প পরিচালক মাহমুদুল হকসহ অন্য কর্মকর্তারা তাদেরকে এমপিওভুক্তির আশ্বাস দিয়েছেন বারবার। সেকায়েপের এসিটি ম্যানুয়েলে এমপিওভুক্তির ইঙ্গিতও ছিলো। কিন্তু এমপিওভুক্তির প্রচলিত বিধি অনুযায়ী তাদের নিয়োগ না হওয়ায় তাদেরকে এমপিওভুক্ত করেনি মন্ত্রণালয়। হতাশ হয়ে তারা ফের আন্দোলনে নেমেছেন।