মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল এমএজি ওসমানীর জীবনী পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। ওসমানীর ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, কষ্ট হয় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির দাবিদাররা রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও তার মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয় ভাবে পালিত হয় না।
এই প্রজন্মের জানা উচিত বঙ্গবীর জেনারেল এমএজি ওসমানী ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগদান করেন। একই বছর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পুণ্যভূমির পুণ্য সন্তান হিসেবে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর পর মুজিবনগরে গঠিত স্বাধীন বাংলা সরকারের তিনি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক নিযুক্ত হন। তার সুশৃঙ্খল নেতৃত্বে মাত্র ৯ মাসের যুদ্ধে শত্রু সেনাদের পযুর্দস্ত করে বিজয় অর্জন সম্ভব হয়েছিল।
এমনকি তিনি ছিলেন একজন জাত সৈনিক ও সুদক্ষ সেনানায়ক। পাকিস্তান আমলে বাঙালি সৈনিকদের জন্য পদ সংরক্ষণ, পাকিস্তান ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের জন্য মার্চ সংগীত রূপে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের “চল্ চল্ চল্, ঊর্ধ্বগগনে বাজে মাদল” গানটি রণসংগীত হিসেবে সরকারি অনুমোদন আদায় ইত্যাদির মাধ্যমে তিনি স্বদেশ স্বজাতির প্রতি তার প্রচণ্ড ভালোবাসার নজির রেখে যান।
বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে রয়েছে তার বিরাট অবদান। শুধু তাই নয়, সংবিধান প্রণয়ন ও সশস্ত্র বাহিনীর ভিত্তিস্থাপন ও নীতি নির্ধারণে তার মুখ্য ভূমিকা ছিল। এমনকি ১৯৭৮ সালে গণঐক্য জোট-এর প্রার্থী হিসেবে জেনারেল ওসমানী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন বলেই আওয়ামী লীগ সেদিন মাঠে নামার সাহস পেয়েছিল। আর তাই জাতীয় এই বীরের জীবনী আমাদের পাঠ্যবইগুলোতে অন্তর্ভুক্তিকরণ সহ জাতীয় জীবনে তাকে আরো মূল্যায়ন নিশ্চিত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।