ফেনীর নুসরাত হত্যার ঘটনায় সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে রাজধানীর শাহবাগ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (১৬ জুন) রাজধানীর রমনা জোনের উপকমিশনার মারুফ সর্দার তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, জামিনের জন্য মোয়াজ্জেম এসেছিলেন আদালতে। পরে শুনানির তারিখ পিছিয়ে কাল সোমবার দিলে পুলিশ মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতার করেছেন।
এ বিষয়ে রমনা জোনের ডিসি মারুফ সর্দার জানান, হাইকোর্টের কদম ফোয়ারার কাছ থেকে মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে গ্রেফতারের বিষয়টি সোনাগাজী থানাকে জানানো হয়েছে। যেহেতু ওই থানায় গ্রেফতারের পরোয়ানা আছে, সে জন্য তাদের কাছে তাঁকে হস্তান্তর করা হবে। এরপর তারা ঠিক করবেন কোন আদালতে ওঠাবেন।
এর আগে গত ১৭ মে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মাদ আস সামছ জগলুল হোসেন মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। এরপর থেকেই পলাতক ছিলেন সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম।
উল্লেখ্য, ফেনীতে হত্যাকাণ্ডের শিকার মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দির ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়ানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় পরোয়ানাভুক্ত আসামি মোয়াজ্জেম হোসেন। মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহানকে গত ৬ এপ্রিল পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার আগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ জানাতে সোনাগাজী থানায় যান নুসরাত। থানার সেই সময়ের ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন নুসরাতকে আপত্তিকর প্রশ্ন করে বিব্রত করেন এবং তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
ওই ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলে তদন্ত করে ২৭ মে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ওই দিনই তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরোয়ানা জারির দুইদিন পর মোয়াজ্জেম হোসেন হাইকোর্টে জামিন আবেদনও করেন।