জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার নির্দেশনা উপেক্ষিত হচ্ছে চট্টগ্রামের পটিয়ায় কওমি মাদরাসাগুলোতে। একইসঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক পাঠদান ও অ্যাসেমব্লি করার নির্দেশ দিলেও গত তিন দিনে কোনো মাদরাসাই তা কার্যকর করেনি।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাবিবুল হাসান জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের স্মারক মতে, গত ৪ নভেম্বর কওমি মাদরাসাগুলোর জন্য এসব বিষয়ে একটি চিঠি জারি করা হয়। চিঠির নির্দেশনা মানা হচ্ছে কি-না, তা তিন কার্যদিবসের মধ্যে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে সচিত্র প্রতিবেদন আকারে পাঠাতে বলা হয়। গতকাল বুধবার তিন দিন শেষ হলেও কোনো মাদরাসা নির্দেশনা মেনে কাজ করেনি।
চিঠিতে উল্লেখ করা মাদরাসাগুলো হলো- পটিয়া সদরের আল জামেয়া আল-ইসলামিয়া জমিরিয়া কাসেমুল উলুম মাদরাসা, উপজেলা জিরি ইউনিয়নের আল-আরাবিয়া জিরি মাদরাসা, শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের হাফেজিয়া তালীমুল কোরআন মাদরাসা, আশিয়া ইউনিয়নের এমদাদুল উলুম আশিয়া মাদরাসা, একই ইউনিয়নের বায়তুন নুর আশিয়া মাদরাসা, বরলিয়া ইউনিয়নের ইউনুসিয়া আজিজুল উলুম বারৈকাড়া মাদরাসা, খরনা ইউনিয়নের ইসলামিয়া চৌধুরীবাড়ি খরনা মাদরাসা, একই ইউনিয়নের শেখ আলী আহমদ বোয়ালভী সেন্টার মাদরাসা ও শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের আবু বক্কর সিদ্দিক (র.) হিলচিয়া মাদরাসা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাঈনুদ্দিন মজুমদার জানান, ৬ নভেম্বর নির্দেশনাসংক্রান্ত চিঠি পান তিনি। বেশ কিছু মাদরাসায় তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পটিয়ার ১১টি কওমি মাদরাসায় প্রায় সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। নির্দেশনার আলোকে কাজ চলছে। ধীরে ধীরে তা বাস্তবায়ন হবে।
চিঠি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জিরি আল-আরাবিয়া মাদরাসার মহাপরিচালকের ছেলে মাওলানা খোবাইব জানান, নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রেখে কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্সের মান দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছেন, কওমি মাদরাসা যেভাবে ছিল সেভাবেই থাকবে। দেওবন্দ মাদরাসার উসুল ও ভিত্তির ওপরই চলবে। সরকারের পক্ষ থেকে নতুন কোনো নিয়ম এখনও ঘোষণা দেওয়া হয়নি। তিনি অভিযোগ করেন, মাদরাসাবিরোধী একটি চক্রের ইন্ধনে সম্প্রতি সারাদেশের ইউএনওদের কাছে কওমি মাদরাসার তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
পটিয়া আল জামেয়া আল ইসলামিয়া জমিরিয়া কাসেমুল উলুম মাদরাসার সহকারী মহাপরিচালক আবু তাহের নদভী জানান, তিনি এ ধরনের কোনো চিঠি পাননি।