চল্লিশের দশকে বাংলা কাব্যসাহিত্যে সৃষ্টিশীলতার যে জোয়ার এসেছিল, তাতে হাতেগোনা কয়েকজন পূর্ববঙ্গীয় কবি যুক্ত হয়েছিলেন। কবি আহসান হাবীব তাদের একজন। আজ বৃহস্পতিবার আধুনিক কাব্যসাহিত্যের অন্যতম পথিকৃৎ আহসান হাবীবের ১০৪তম জন্মদিন। ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে তৎকালীন বাকেরগঞ্জ বর্তমানে পিরোজপুরের শঙ্করপাশা গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। দেশভাগের অন্তত এক যুগ আগেই কলকাতায় তার সাহিত্যচর্চা শুরু। তিনি পঞ্চাশ দশকের অন্যতম আধুনিক কবি।
দীর্ঘদিন দৈনিক বাংলার সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন কবি আহসান হাবীব। এ ছাড়া দৈনিক আজাদ, মাসিক মোহাম্মদী, দৈনিক কৃষক, দৈনিক ইত্তেহাদ, সাপ্তাহিক প্রবাহ পত্রিকায় সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। কলকাতায় আকাশবাণীতেও 'গল্প দাদুর আসর' পরিচালনা করেছেন দীর্ঘদিন।
১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে স্কুল ম্যাগাজিনে তার প্রবন্ধ 'ধরম' ও প্রথম কবিতা 'মায়ের কবরপাড়ে কিশোর' প্রকাশ পায়। প্রথম কবিতার বই 'রাত্রি শেষে'
প্রকাশিত হয় ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- 'ছায়া হরিণ', 'সারা দুপুর', 'আশায় বসতি', 'মেঘ বলে চৈত্রে যাবো', 'দুই হাতে দুই আদিম পাথর' এবং 'প্রেমের কবিতা'। শিশুসাহিত্যেও অনবদ্য অবদান রয়েছে তার।
আহসান হাবীব ইউনেস্কো সাহিত্য পুরস্কার ও একাডেমি পুরস্কার, আদমজী পুরস্কার, নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদক, একুশে পদক এবং আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দের ১০ জুলাই ৬৮ বছর বয়সে মারা যান তিনি।