লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসের ৭টি পদের মধ্যে ৩টি পদ দীর্ঘদিন ধরে খালি রয়েছে। এত জনবল সংকটের কারণে দাপ্তরিক কার্যক্রম মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বার বার জানানো হলেও এখন পর্যন্ত এর কোনো সুরাহা করা হয়নি। ফলে কোনোরকম জোড়াতালি দিয়ে তিনি কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদরাসা, ১৪টি কিন্ডারগার্টেন ও ১২৬টি আনন্দ স্কুলসহ প্রাথমিক পর্যায়ের ২১৪টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শনসহ দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার ১টি, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার ২টি ও উচ্চমান সহকারী, অফিস সহকারী, হিসাব সহকারী ও অফিস সহায়কের ১টি করে পদসহ মোট ৭টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এর মধ্যে একজন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উচ্চমান সহকারী ও অফিস সহকারীর পদ দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত শূন্য। ফলে একজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকেই সবগুলো প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতে হচ্ছে। পাশপাশি হিসাব সহকারীকে করতে হচ্ছে উচ্চমান সহকারী ও অফিস সহকারীর কাজ। এতে করে বিদ্যালয় পরিদর্শনসহ দাপ্তরিক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে তাদেরকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি কামরুল হাসান জানান, বেতন-ভাতাসহ স্কুলের বিভিন্ন কাজে তাদেরকে প্রায়ই শিক্ষা অফিসে যেতে হয়। কিন্তু শিক্ষা অফিসে পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় সেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করা লাগে। ফলে স্কুলে পর্যাপ্ত সময় দিতে না পারায় ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার বিঘ্ন ঘটছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসের হিসাব সহকারী কামরুল ইসলাম জানান, উচ্চমান সহকারী ও অফিস সহকারীর পদগুলো শূন্য থাকায় তিনি একাই এ দপ্তরের সব কাজ পরিচালনা করছেন। এতে অফিসে আসা শিক্ষকদের ভোগান্তিতে পড়াসহ কার্যক্রম চালিয়ে নিতে তাকে অনেক বেগ পেতে হচ্ছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এটিএম এহচানুল হক চৌধুরী জানান, পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় দাপ্তরিক কাজকর্ম চালিয়ে নিতে খুব বেগ পোহাতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে শূন্য পদগুলো পূরণে বার বার লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এর কোনো সুরাহা করা হয়নি। পদগুলো নিয়মিত করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান তিনি।