করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সরকার বন্ধ করেছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে এই বন্ধ ঘোষণা তা কাজে লাগছে না হবিগঞ্জের গ্রাম এলাকায়। গ্রামের শিক্ষার্থীরা সারাদিন মেতে থাকছে খেলাধুলায়। সেখানে যুক্ত হচ্ছে শহর থেকে আসা শিক্ষার্থীরাও। তারা ব্যবহার করে না কোনো মাস্ক বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লুকড়া ইউনিয়নের ধল গ্রামের মাঠে দপুর বেলা দেখা যায়, প্রায় ২৫ জন কিশোর ফুটবল খেলায় মেতে রয়েছে। তাদের অধিকাংশ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। সকাল থেকেই তারা খেলা করছিল বলে জানিয়েছেন মাঠের এক কোণে গাছের ছায়ায় বসা কয়েকজন বয়োবৃদ্ধ।
করোনা পরিস্থিতিতে জড়ো হয়ে খেলাধুলা করা ঝুঁকিপূর্ণ জানালে এক কিশোর বলে, গ্রামে করোনা আসেনি। তাই আমরা খেলাধুলা করছি। যখন গ্রামে আসবে তখন খেলাধুলা করব না। এ সময় পাশে বসা অভিভাবকরাও তাদের কথায় মত দিচ্ছিলেন। সুমন মিয়া নামে এক কিশোর লেখাপড়া করে রিচি উচ্চ বিদ্যালয়ে। তাকে টেলিভিশনে ক্লাস নেয়া হচ্ছে সেটি সে জানে কি না বললে জানায় এটি তার জানা নেই। আর সবাই খেলাধুলা করলে একা একা কি লেখাপড়া করা যায়।
এদিকে বানিয়াচং উপজেলার মক্রমপুর ইউনিয়নের কাবিলপুর গ্রামে দেখা যায় হাওরের একটি পতিত জমিতে একদল কিশোর কাবাডি খেলায় ব্যস্ত। সেখানে আরও শতাধিক শিশু কিশোর জমায়েত হয়েছে খেলা দেখার জন্য। তাদের সাথে আলাপকালে তারা জানায়, স্কুল বন্ধ থাকায় তারা খেলাধুলা করে সময় কাটাচ্ছে। করোনা বিষয়ে তাদের তেমন কোনো ধারণা নেই।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) অমিতাভ পরাগ তালুকদার জানান, প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে সচেতনতা কর্মসূচির জন্য কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। কোথাও জনসমাগমের খবর পেলে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।