দেশে করোনা ভাইরাসের ব্যাপক বিস্তার রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এ অবস্থায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও তাদের অধীনস্থ দপ্তর-অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি পালন নিশ্চিত করতে ১৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১১ মে) চাকরিজীবীদের স্বাস্থ্যবিধি পালন নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ১৩ দফা নির্দেশনা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে পাঠানো হয়েছে। ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি পালন নিশ্চিত করতে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে।
স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জারি করা ১৩ দফা নির্দেশনায় বলা হয়, অফিস চালুর আগেই অবশ্যই অফিস কক্ষ, আঙিনা৷ রাস্তাঘাট জীবাণুমুক্ত করতে হবে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক জীবাণুমুক্তকরণ টানেল নির্মাণের ব্যবস্থা নিতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা যেতে পারে। প্রবেশ পথে থার্মাল স্ক্যানার পাখার মোটর দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে অফিসে প্রবেশ করতে হবে। অফিস পরিবহনগুলোর শতভাগ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। যানবাহনে বসার সময় ন্যূনতম তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং সকলকে মাক্স ব্যবহার করতে হবে। সার্জিক্যাল মাছ শুধু একবার ব্যবহার করা যাবে। কাপড়ের মাস্ক সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে পুনরায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, অফিসে যাওয়ার আগে,ত যাওয়ার পথে এবং অফিস থেকে বের হওয়ার সময় বারবার হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। খাবার সময় ন্যূনতম তিন ফিট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। প্রতিবার টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করা নিশ্চিত করতে হবে। অফিসে কাজ করার সময় অবশ্যই শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কর্মস্থলে সবাইকে মাফ করতে হবে এবং নিয়মিত সাবান পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়, করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন সর্তকতা এবং স্বাস্থ্যবিধি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত মনে করিয়ে দিতে হবে এবং তারা স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে পালন করছে কিনা তা মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। অফিসের দৃশ্যমান একাধিক স্থানে ছবিসহ সুরক্ষা নির্দেশনা ঝুলিয়ে রাখতে হবে। কোন কর্মচারীকে অসুস্থ পাওয়া গেলে তাকে তাৎক্ষণিক আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টিন করার ব্যবস্থা করতে হবে।