করোনাভাইরাসে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা বিশ্ববাসীর। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। কোনও কোনও ভাঙছে আগের সব রেকর্ডও। এমন পরিস্থিতিতে আরও ভয়ংকর খবর দিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও। তারা বলছে, বিশ্বের কয়েকটি দেশে যেভাবে করোনা ছড়াচ্ছে, তাতে ঘুরে দাঁড়ানো তো দূরের কথা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
ছয় মাস থেকে করোনা নিয়ে ডব্লিউএইচওকে সতর্ক করেছিল চীন। তারপর সংস্থাটির বিরুদ্ধে ঢিলেমির বহু অভিযোগ উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ করেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাফিলতির কারণে করোনা আজ মহামারির আকার ধারণ করেছে। তবে ডব্লিউএইচও’র পাল্টা অভিযোগ যে, যুক্তরাষ্ট্রসহ বহু দেশ তাদের দেয়া সতর্কবার্তাকে গুরুত্ব দেয়নি।
কিন্তু কারণ যাই হোক, করোনা আজ বিশ্বব্যাপী ত্রাস সৃষ্টি করেছে। বিশ্বজুড়ে এর কবলে পড়েছে ১ কোটি ৩২ লাখের বেশি মানুষ। প্রাণ গেছে প্রায় ৫ লাখ ৭৫ হাজার জনের। এরপরও ডব্লিউএইচও আশার কথা শোনাতে পারলো না। সংস্থাটির মহাপরিচালক টেডরোস আধানম গেব্রেয়িসাস বলেন, এই মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতি শুধু একটা দিকেই এগোচ্ছে। সেটা হলো খারাপ, আরও খারাপ এবং তারচেয়েও খারাপ।
আর এই দুরাবস্থার জন্য নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশের ওপর দায় চাপিয়েছেন ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক। তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি দেশ করোনা মোকাবিলায় ভুলপথে এগোচ্ছে। যদি ন্যূনতম নিয়ম না মানা হয়, তাহলে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে সেটাই স্বাভাবিক। ডব্লিউএইচ বলছে, এই দেশগুলো মানসিকতা না বদলালে পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আরেকজন শীর্ষ কর্মকর্তা মাইক রায়ান সরাসরি অভিযোগের তীর যুক্তরাষ্ট্রের দিকেই তাক করেছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু জায়গায় নতুন করে লকডাউন প্রয়োজন। এসময় তিনি বিশ্বের সব দেশের কাছে স্কুল না খোলার অনুরোধও করেন। রায়ান বলেন, দয়া করে স্কুল খুলবেন না। সব ঠিক হলে স্কুল-কলেজ খোলা যাবে।