প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যায় কোনোভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না। আক্রান্তের পাশাপাশি প্রাণ হারানোর তালিকাও প্রতিদিনই বাড়ছে। গত ছয় সপ্তাহে বিশ্বে এই ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। তার পরও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মনে করছে, এই মহামারি এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানোম গেব্রেয়েসুস বলেছেন, যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারলে অবশ্যই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।
সংবাদ সম্মেলনে ইতালি, স্পেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারতীয় বস্তির উদাহরণ তুলে ধরেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। তিনি বলেন, এসব দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ পর্যায়ে চলে গেলেও দ্রুততর ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
গেব্রেয়েসুস আরও বলেন, ব্যাপক মাত্রায় ছড়িয়ে পড়া সত্ত্বেও করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে- বিশ্বে এমন বহু উদাহরণ এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে। এই উদাহরণগুলোর মধ্যে ইতালি, স্পেন, দক্ষিণ কোরিয়া এমনকি এশিয়ার সব থেকে বড় বস্তি মুম্বাইয়ের ধারাভির কথা উল্লেখ করেন তিনি।
কমিউনিটি সংক্রমণ শনাক্ত করা, পরীক্ষা করা, পৃথক করা এবং আক্রান্তদের সবার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে প্রাণঘাতী ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার বৃত্তকে ভেঙে দিতে সক্ষম হয়েছে ওইসব এলাকার কর্তৃপক্ষ।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্য দেশগুলোয় এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনার প্রকোপ ১৩ গুণ বেড়ে যাওয়ায় প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ বিশ্বব্যাপী মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।