মার্চ মাসের ১৭ তারিখ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর ছয় মাস অতিক্রম হয়েছে। পালাক্রমে পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইন পাঠদান শুরু করে। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সাড়াশব্দ ছিল না গত ছয় মাস। কিছুদিন আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় একটা সিস্টেম চালু করেছে, যেখানে ক্লাসের লেকচারগুলো আপলোড করা থাকবে। শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে। এই সিস্টেমটা নিতান্তই দায়সারা ছাড়া আর কিছু মনে হচ্ছে না। রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা থেকে দূরে সরে গেছে। অনেকের মানসিক বিষণ্ণতা দেখা দিয়েছে নিজেদের পড়ালেখা ও ক্যারিয়ার নিয়ে।
প্রকৃতপক্ষে বলা চলে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দুঃখ, ক্যারিয়ারের ক্ষতি দেখার মতো কেউ নেই। অনেক শিক্ষার্থী আছে, যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নাম পর্যন্ত জানে না। এর দায়ভার কার? শিক্ষার্থী নাকি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের?
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলোয় কোনো বিষয়ে সঠিক তদারকি নেই। আর অনলাইন ক্লাসের পরিবর্তে যে সিস্টেম চালু করা হয়েছে তাতে খুবই কম শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে। হয়তো অনেক কলেজের শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে অবগতও নয়। অবগত থাকারও কথা না। কোনো প্রচার-প্রসার নেই। অথচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিশ্ববিদ্যালয়। সরকার এর পেছনে প্রতি অর্থবছরে বাজেট দেয়ার পাশাপাশি যদি শিক্ষা কার্যক্রম নিয়মিত তদারক করার মতো লোকবল নিয়োগ করত, তাহলে হয়তো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার উজ্জ্বল হতো।
লেখক : তাসনিম হাসান মজুমদার, শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম কলেজ