করোনাভাইরাস মহামারিতে মানুষের জীবনযাত্রায় এনেছে আমূল পরিবর্তন, নড়বড়ে করে দিয়েছে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। তার প্রভাব পড়েছে সামাজিক আচার-আচরণেও। আগে বিয়ের মেন্যুতে সবার উপরে লবণ-লেবু-টমেটোর কথা উল্লেখ থাকলেও এখন সেখানে স্থান করে নিয়েছে সাবান, টিস্যু, হ্যান্ড স্যানিটাইজার। স্যালাড, কাসুন্দি, ভেজিটেবল চপ, ফিস ফ্রাই কিংবা রাধাবল্লভি, পনির, রাইস, মটনের মতো লোভনীয় খাবারের আকর্ষণের জায়গায় মানুষ এখন চিন্তিত জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায়।
করোনায় লকডাউন পরিস্থিতে গুরুত্বপূর্ণ অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়াতে বাধাগ্রস্ত হয় মানুষের স্বাভাবিক জীবন। এসময় আটকে যায় বিয়ে-শাদির মতো অনেক সামাজিক অনুষ্ঠান। লকডাউন পরিস্থিতি কিছু্টা শিথিল করার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়েছে সীমিত আকারে বিয়ের আয়োজন। বিয়ে মালাবদল প্রীতিভোজ সবই হবে। তবে তা সীমাবদ্ধ রাখতে হবে পঞ্চাশ জনের মধ্যে। সেই সঙ্গে সকলের স্বার্থেই সাবধানতা অবলম্বন জরুরি। খাওয়ার সময়টুকু ছাড়া অন্যান্য সময় মাস্ক পরতে হবে।
ঠিক এমনই এক বিয়ের মেন্যু লিস্টে প্রথমে জায়গা করে নিল হ্যান্ড স্যানিটাইজার। ভারতের বর্ধমানের বাবুরবাগের বাসিন্দা অঙ্কন সাঁইয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার আকুই গ্রামের এনাক্ষীর। এমন পরিস্থিতিতে দুজনের বিয়ের রিসেপশন হলো এক সঙ্গে। আর এই বিয়ের মেন্যুতে সচেতনতার প্রথম ধাপ হিসাবে যোগ করা হয়েছিল হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
আমন্ত্রিত অতিথি প্রত্যেকের হাতে একটি করে স্যানেটাইজারের বোতল তুলে দেয়া হয়। সবচেয়ে মাজার বিষয় হলো পাত্র-পাত্রীর ছবি সামনে রেখে এই স্যানিটাইজারের বোতল তৈরি করে দিয়েছিল।
বিয়ের নিমন্ত্রণে এসে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বোতল পেয়ে খুশি সব আমন্ত্রিত অতিথিরা। বর কনে জানালেন, বিয়েটা আর পিছাতে চাইনি। এই পরিস্থিতিতে সাবধানতা মেনেই বিয়ের অনুষ্ঠান করা হয়েছে।