বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের কর্মচারীকে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা আলামিন সরোয়ারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত এ কর্মকর্তা বিএম কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও শিক্ষক পরিষদের সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে কলেজের প্রশাসনিক বিভাগের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শিক্ষকের মারধরের শিকার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মো. জাহিদ হোসেন প্রশাসনিক বিভাগের প্রবেশদ্বারে কর্মরত ছিলেন। কলেজের একটি সড়ক গাড়ি চলাচলের জন্য খুলে দেয়ায় কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক আলামিন সরোয়ার ওই কর্মচারীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভু্তেভোগী কর্মচারী মো. জাহিদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ‘সম্প্রতি অধ্যক্ষের কার্যালয় সামনের একটি সড়কের কাজ শেষ হয়েছে। ওই সড়কের দুই ধার আটকে দিয়েছিল কলেজ প্রশাসন। কিন্তু মোটরসাইকেল নিয়ে ছাত্রনেতা ও শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করতে না পেরে আমার ওপর চড়াও হয়। আমি বিষয়টি কলেজ উপাধ্যক্ষকে জানাই। উপাধ্যাক্ষ আমাকে রাস্তা চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক আলামিন সরোয়ার আমার কাছে গেট খুলে দেবার কারণ জানতে চান। আমি উপাধ্যক্ষর নির্দেশের কথা বলতেই অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করেন তিনি। আমি প্রতিবাদ করতেই তিনি গায়ে হাত তুলেন।’ বিষয়টি উপাধ্যক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাহিদ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজের এক শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাবেক সম্পাদক এ এস কাইউম উদ্দিন আহমেদের বিভাগে কাজ করতো জাহিদ। একইসাথে সাবেক সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ ভালো থাকায় তাকে সেখান থেকে গেটে দায়িত্ব দেন বর্তমান সম্পাদক আলামিন সরোয়ার। এরপরও কাইউম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে জাহিদকে মারধোর করেন এই শিক্ষক নেতা।
শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক আলামিন সরোয়ার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, জাহিদ গেট এ দায়িত্ব পালন করার কথা থাকলেও সে তা করে না। তাই তাকে ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। এর চাইতে বেশি কিছু নয়।
কলেজ উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. গোলাম কিবরিয়া দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমি জাহিদকে নির্দেশ দিয়েছি গাড়ি আসলে গেট খুলে দেবার জন্য। আর এটা নিয়মও। জাহিদ মৌখিকভাবে জানিয়েছে তাকে গালাগাল করেছে। মারধরের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।