সাম্প্রতিক সময়ে যুগোপোযোগী একটি বিষয় কর্মমুখী বা ক্যারিয়ার শিক্ষা। এই বিষয়ে একটি পাঠ্যপুস্তক বাংলাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরে সংযোজন হয়েছিল এবং নিতান্ত অকারণে তা পরিহার করা হলো। বিষয়টি শিক্ষার্থীদের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, গুরুত্বপূর্ণ এই জন্য যে, এটি শিক্ষার্থীকে শিক্ষকের বিকল্প হিসাবে নির্দেশনামূলক স্বশিক্ষণমূলক একটি পুস্তিকা, পরীক্ষার নম্বর ৫০। বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক এটি নির্দ্বিধায় পড়াতে পারেন। পৃষ্ঠা সংখ্যা ৮৫-এর বেশি নয়। কিন্তু আইসিটি শিক্ষা বই পড়ানোর মতো জনবল থাকলেও যথাযথ শিক্ষাদানের উপযুক্ত শিক্ষক নাই। এটির পৃষ্ঠা সংখ্যা নগণ্য হলেও পাঠ্যসূচি বিরাট, কিন্তু সংক্ষিপ্ত। তবে পাঠ্যসূচি সংক্ষিপ্ত করে বিষয় বিস্তারিত হলে যথার্থ হতো। যুগের তাগিদেই পাঠ্য দুটি বিষয় অত্যন্ত জরুরি। তাই কর্মমুখী বা ক্যারিয়ার শিক্ষা বাতিল না করে আইসিটি বিষয়ের সঙ্গে (৫০+৫০)=১০০ নম্বর রাখা যেতে পারে। বিষয়টি ভেবে দেখার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করি।
মো. সুরমান আলী : সহকারী প্রধান শিক্ষক, মেহেরুন্নিসা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ধানমন্ডি, ঢাকা ১২০৫।