কলকাতার পূর্ব প্রান্তে সল্টলেকে বিশাল মেলা প্রাঙ্গণ সেন্ট্রাল পার্ক। প্রতি বছর এই সময়টায় বইপ্রেমী মানুষের কাছে এই স্থানটি তীর্থস্থান হয়ে ওঠে। এই তীর্থস্থানের অন্যতম আকর্ষণ বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিকেছেন অনিতা চৌধুরী।
প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, এ বছর কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার ৪৪তম বর্ষ। প্রায় ১০০০ স্টল অংশ নিয়েছে মেলার মাঠজুড়ে। প্রতিদিন মেলায় আসছে লাখো মানুষ। নানা ভাষার বই, নানা মাপের স্টল, নানান দেশের অংশগ্রহণ। এর মধ্যে জ্বলজ্বল করছে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন।
‘কলকাতা বইমেলায় প্রতি বছর একটা থিম দেশ রাখা হয়। এবার থিম দেশ রাশিয়া। কিন্তু বাংলাদেশ এই মেলার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।’ কথাগুলো বললেন কলকাতা বুকসেলারস অ্যান্ড পাবলিশার্স গিল্ডের ত্রিদিব চ্যাটার্জি।
এ বছর কলকাতা বইমেলায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে বাংলাদেশের ৪৫টি প্রকাশনা সংস্থা অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে পসরা সাজিয়ে বসেছে—বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র অধিদপ্তর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর, নজরুল ইনস্টিটিউট, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, সাহিত্য একাডেমি, বাংলাপ্রকাশ, কাকলি পাবলিকেশন্স, পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স, অন্যধারা, অন্যপ্রকাশ, সন্দেশ ইত্যাদি।
কলকাতা বইমেলায় প্রতি বছর বিভিন্ন দেশ অংশ নেয়। বাংলাদেশের সাহিত্য নিয়ে মানুষের মধ্যে অনেক উৎসাহ। তারা অপেক্ষায় থাকে বইমেলার। এ মেলায় সহজে পাওয়া যায় বাংলাদেশের বই।
কথাগুলো জানালেন অন্যপ্রকাশের স্টলের বিক্রয়কর্মী শাহরিয়ার মাহমুদ।
বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী এবং এর ইংরেজি অনুবাদ এবারও মেলায় বেস্ট সেলার। আর প্রতি বছরের মতো এবারও পাঠক বেশি কিনছেন হুমায়ূন আহমেদ, ইমদাদুল হক মিলনের বইসহ অন্যান্য গবেষণামূলক বই।
গত ২৯ জানুয়ারি কলকাতা বইমেলার উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেলা চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। শেষ দিন মেলায় বাংলাদেশ দিবস।