প্রধান শিক্ষকের গাফিলতির কারণে পরীক্ষার ফরম পূরণ ও প্রাইভেটের টাকা পরিশোধের পরও প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়া হচ্ছে না চার শিক্ষার্থীর। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার গোলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বাবুলের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।
শনিবার(১৭ নভেম্বর) তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) স্কুলে পরীক্ষার প্রবেশ আনতে যায় পরীক্ষার্থী আসাদুল বিশ্বাস, সজল মৃধা, সাহাদ সরদার ও সাগর মৃধা। কিন্তু তাদের প্রবেশপত্র না দিয়ে ফেরত পাঠায় প্রধান শিক্ষক। খবর পেয়ে অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক জানান, তালিকায় তাদের নাম আসেনি। তাই তারা এ বছর পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। আজ রোববার থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর বাবা-মা জানান, তাদের সন্তানরা মডেল পরীক্ষা দিয়েছে। যথাসময়ে ফরমপূরণ ও প্রাইভেটের টাকা দেয়া হয়েছে। সবকিছু করার পরেও কেন তালিকায় নাম থাকবে না সেই প্রশ্ন তোলেন। সন্তানদরে জীবন থেকে একটি শিক্ষাবর্ষ হারিয়ে যাবার আশঙ্কায় ভুগছেন তারা।
প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বাবুল বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। ওই শিক্ষার্থীরা তার কাছে কোন টাকা দেয়নি। কেন পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না সেই প্রশ্নের কোন উত্তর দেননি তিনি।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জালাল আহমেদের কাছে দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, অভিভাবকদের অভিযোগ পেয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে ডেকে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।