পাবলিক পরীক্ষার পর পরই দেশের সেরা স্কুল কলেজ নির্বাচন করার একটি অলিখিত প্রক্রিয়া চালু ছিল বেশ কয়েকবছর। এরমাধ্যমে একটি অসুস্থ প্রতিযোগিতা এবং কিছুটা দুর্নীতির খবরও প্রকাশ হয়েছিল তাই, এই ধরনের প্রতিযোগিতাসমূহ বাদ দেয়া হয়। ২০১৫ সাল থেকে কলেজের অবকাঠামো, শিক্ষার পরিবেশ, শিক্ষকদের মান, পরীক্ষার ফলাফল, গ্রন্থাগারের সংগ্রহ, আইসিটি সাপোর্ট, সহপঠ কার্যক্রম ইত্যাদি বিবেচনায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি ও বেসরকারি কলেজগুলোর মধ্যে এক ধরনের র্যাংকিং প্রথা চালু করেছে।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তার অধীনস্থ ¯œাতক সম্মান ও মাস্টার্স পর্যায়ের কলেজগুলোর মধ্যে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা তৈরির মাধ্যমে শিক্ষার সার্বিক মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ২২০০ কলেজকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গ্রেডিং করে বছরান্তে সেরা কলেজ ঘোষণার উদ্যোগ নেয়। সরকারি পর্যায়ের সেরা পাঁচটি কলেজকে এক থেকে পাঁচ এবং বেসরকারি একটি কলেজকে সেরা বেসরকারি কলেজ ও একটি মহিলা কলেজকে সেরা মহিলা কলেজ নির্বাচন করার প্রক্রিয়া শুরু হয় ।র্যাংকিং-২০১৫ এবং সম্প্রতি ২০১৬ ঘোষণা করা হয় ২০১৭ সালে। র্যাংকিংয়ের জন্য মোট ৩১টি সূচকে ১০০ নম্বর বরাদ্দ করা হয়।
র্যাংকিংয়ে ঢাকা কমার্স কলেজকে সেরা বেসরকারি কলেজ ( যার অর্জিত স্কোর ৬৩.২৮) ও সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজকে সেরা মহিলা কলেজ এবং জাতীয় পর্যায়ের সেরা পাঁচের মধ্যে প্রথম ’ রাজশাহী কলেজ যার স্কোর ৬৮.১৩, দ্বিতীয় সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ স্কোর ৬৪.৩২, তৃতীয় সরকারি কারমাইকেল কলেজ, চতুর্থ সরকারি এি এম কলেজ এবং পঞ্চম হয়েছে বগুড়ার সরকারি অযিযুজল হক কলেজ।
গুণগত মানের শিক্ষা, শিক্ষাসহায়ক কার্যক্রম ও শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার স্বীকৃতিস্বরুপ ’ঢাকা কমার্স কলেজ’ সেরা কলেজ ২০১৫ এবং দ্বিতীয়বারের মতো ২০১৬ সালেও বেসরকারি সেরা কলেজের গৌরব অর্জন করে । কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৯ সালে। কাজী ফারুকীর দক্ষ নেতৃত্ব, গভর্ণিং বডির সদস্যবৃন্দের সঠিক নির্দেশনা, শিক্ষকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতা কলেজটিকে খুব সীমিত সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় কলেজে পরিণত করেছে। এটি একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। দেশের মাধ্যমিক ও উচচশিক্ষার বেশিরভাগ দখল করে আছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।অতএব একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কিভাবে সাফল্য অর্জন করে সেটি জানতে পারলে অনেকেই সেই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করতে পারবে।কোন ধরনের রাজনীতির আশ্রয় না নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে এ ধরনের সুস্থ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, সেটি খারাপ নয় বরং ভাল।
এদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ে ১০ নভেম্বর ২০১৭ বাংলাট্রিবিউন-ঢাকা ট্রিবিউনের যৌথ উদ্যোগে র্যাংকিং বিষয়ক এক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় । বস্তুগত ও ধারণাগত তথ্য থেকে প্রাপ্ত স্কোরের সমন্বয়ে এই র্যাংকিং করা হয় যার মধ্যে বস্তুগত তথ্য থেকে ৪০ শতাংশ এবং ধারণাগত তথ্য থেকে ৬০শতাংশ স্কোর নিয়ে মোট ১০০ স্কোরের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাংকিং নির্ধারণ করা হয়। বস্তুগত তথ্যের ক্ষেত্রে ইউজিসি থেকে প্রাপ্ত ২০১৪ সালের তথ্য নেয়া হয়েছে। অপরদিকে ধারণাগত তথ্যের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, অধ্যাপক, রেজিস্ট্রার এবং চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের ওপর জরিপ পরিচালিত হয়। ধারণাগত জরিপটি মোট ৩০০ জনের ওপর পরিচালনা করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৫০ জন শিক্ষাবিদ এবং ১৫০ জনমানবসম্পদ ব্যবস্থাপক। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ন স্থান দখল করে আছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাংকিং করাও একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। তবে, সেটি হতে হবে নৈব্যক্তিক, তথ্যসমৃদ্ধ এবং প্রয়োজনে উন্নত বিশ্বের কিছু উদহারণ গ্রহন করে যাতে এই র্যাংকিং এক ধরনের প্রকৃত অ্যাসেসমেন্ট হয়।
দেশের ৮৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ৩২ বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই করা হয়। এগুলোর মধ্যে থেকে গবেষণার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছে সেরা ২০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এতে প্রথম হয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় হয়েছে নর্থ সাউথ, তৃতীয় ইনডিপেনডেন্ট আর দশম স্থানে আছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংখ্যা, গবেষণা, ক্যাম্পাস, শিক্ষা কার্যক্রম, লাইব্রেরির অবস্থা, পাস করা শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে শিক্ষক ও চাকরিদাতাদের ভাবনার ভিত্তিতে এই র্যাংকিং করা হয়েছে। ১০ নভেম্বর ২০১৭ গবেষণাপত্র প্রকাশের পর এ গবেষণা নিয়ে অনেকের মাঝে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। র্যাংকিংয়ের জন্য যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে তার অনেকটাই অসম্পূর্ন। অনেক বিষয় যেমন গাণিতিক ফলাফলসহ অনেক তথ্য-উপাত্ত অস্পষ্ট। ধারণাগত ডাটাগুলো ভালে হলেও একাডেমিক তথ্য যারা দিয়েছেন তারা অন্য বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কতটা নিরপেক্ষ তথ্য দিতে পেরেছেন সেটি একটি প্রশ্নসাপেক্ষ ব্যাপার. এত বিশাল উচচশিক্ষার পরিমন্ডলের মধ্যে মাত্র ১৫০জন শিক্ষাবিদ এবং ১৫০ জন মানবসম্পদ ব্যবস্থাপকের মতামত এ ক্ষেত্রে কতটা ভূমিকা রাখতে পেরেছে সেটিও একটি প্রশ্নসাপেক্ষ বিষয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং নিসন্দেহে একটি ভাল উদ্যোগ। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সুস্থ একটি প্রতিযোগিতা শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের নিজ নিজ অবস্থান ও মান সম্পর্কে জানতে পারবে এবং কোথায় লুপহোল আছে তা সারানোর ব্যবস্থা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারবে এবং জাতীকে একটি মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে সমর্থ হবে।কাজেই র্যাংকিংএর পদ্ধতিটি হতে হবে স্বচছ ও সুন্দর, যাতে কোন প্রশ্ন না থাকে। এবারবার র্যাংকিংএ কিছু প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কর্তৃপক্ষ হয়তো বিষয়গুলো নিয়ে ভাবলে ভবিষ্যতে সবার জন্য একটি গ্রহনযোগ্য র্যাংকিং পদ্ধতি চালূ করা সম্ভব হবে। ব্যাংকিং হতে হবে বস্তুনিষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানের। গবেষণায় ধারনাগত স্কোরের ক্ষেত্রে শিক্ষার পরিবেশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো, শিক্ষকদের মান, চাকরি ক্ষেত্রে পাস করা শিক্ষার্থীদের কর্মদক্ষতা, নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতা, যোগাযোগ দক্ষতা ইত্যাদি দেখানো হয়েছে। কিন্তু কাদের কাছ থেকে এবং কিসের ভিত্তিতে এসব জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে সে সম্পর্কে কোন সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা ছিলনা গবেষণাপত্রে ।
সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে দেশের উচচশিক্ষা নিয়ে। অ্যাপ্রোচ ফর বেটার এডুকেশন রেজাল্টস ( এসএবিইআর) কান্ট্রি রিপোর্ট-২০১৭। প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। প্রতিবেদেনে ছয়টি ক্ষেত্র বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে, দেশের উচচশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। এগুলো হচেছ উচচশিক্ষার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য, সুস্পষ্ট নিয়ন্ত্রণ কাঠামো, আধুনিক পরিচালন ব্যবস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্বশাসন, কার্যদক্ষতার উন্নয়নে অর্থায়ন, স্বাধীন মান নিয়ন্ত্রণ ও দেশের আর্থ-সামাজিক প্রয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা। এর প্রত্যেকটিই উচচশিক্ষার মানের ওপর প্রভার ফেলে। এই প্রতিবেদনের তথ্যমতে, নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক মান অনুসরণের চেষ্টা করেছে। তবে সাফল্য নেই বাকি সব ক্ষেত্রগুলোতে। যদিও কোন লক্ষ্যেই সন্তেষজনক মানের কাছাকাছিও নেই ¯œাতক ও ¯œাতকোত্তর পর্যায়ের কলেজগুলোতে। তার পরও দ্রুত বাড়ছে এসব উচচশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। আমাদের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে না পারলে দেশের সার্বিক শিক্ষার ব্যবস্থার ভিত দুর্বলই থেকে যাবে, যা টেকসই উন্নয়ন্রে পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে। উচচশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান বিশ্লেষণে চারটি মানকে ভিত্তি ধরেছে বিশ্বব্যাংক। ল্যাটেন্ট, ইমার্জিং, এস্টাবিলিশড এবং অ্যাডভান্সড। যেসব লক্ষ্য সামান্য গুরুত্ব পায় তাকে ল্যাটেন্ট, কিছু কিছু ভাল উদ্যোগ থাকলে তাকে ইমার্জিং, পদ্ধতিগত ভাল চর্চা হলে সেক্ষেত্রে এস্টাবিলিশড ও আন্তর্জাতিক মানদন্ডের ভিত্তিতে পরিচালিত হলে তাকে অ্যাডভন্সড হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আমাদের দেশে উচচশিক্ষার ক্ষেত্রে মানের প্রশ্নটি দিন দিন প্রকট হয়ে উঠেছে। সরকার উচচশিক্ষা প্রসারে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। এখন সময় সময়ে এসেছে এর গুণগত মানে মনোযোগ দেওয়ার। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো , শিক্ষা-উপকরণ, গবেষণাগার, লাইব্রেরি, খেলার মাঠ প্রভৃতি বিষয় আবশ্যিক করা হয়েছে। হাতেগোনা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই এসব নিয়মের তোয়াক্কা করছেনা। ভাড়া করা ছোট বাসা, ঘিঞ্জি পরিবেশে যত্র তত্র গড়ে উঠেছে বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলোতে যে টিউশন ফি, সেশন চার্জ, ডোনেশনসহ অন্যান্য চার্জ ধরা হয় স্বাভাবিকতার কয়েখগুন বেশি। গুণগত মানের পরিবর্তে নির্ধারিত সময় শেষে একটি সার্টিফিকেট তুলে দেওয়াই এসব প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য।বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পর্যায়ে বেশিরভাগ পদই খালি রয়েছে। গুরুত্বপূর্ন এসব পদ খালি থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল ও অর্থ কমিটির মতো বাধ্যতামূলক সভা পরিচালনা করা সম্ভব হচেছনা। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত বোর্ড অব ট্রাস্টিজ, সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল বা অর্থ কমিটির সভা হয়না। মাধ্যমিক ও উচচশিক্ষা অধিদপ্তর বা ইউজিসিকে না জানিয়েই নতুন কোর্স চালূ , বিভাগ খোলা, শিক্ষার্থী ভর্তি প্রায় নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁিড়য়েছে।
শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহন ও প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নসাধনের পর যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বের দাবি রাখে তা হলো শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতকরণ। উচচশিক্ষার লক্ষ্য নির্ধারণের পথে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থান আন্তর্জাতিক মানের হলেও কলেজগুলো অনসগ্রসর অবস্থানে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এক্ষেত্রে ইমার্জিং স্কোর পেয়েছে। নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে দেশের উচচশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামগ্রিক স্কোর এস্টাবলিশড এই বিবেচনায় কলেজগুলো পিছিয়ে রয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বা কলেজ কোনটিই অ্যাডভান্সড লেভেলে নেই । এ ক্ষেত্রে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থান ইমার্জিং। অর্থায়নের বিবেচনায় দেশের উচচশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামগ্রিক স্কোর ইমার্জিং। শিক্ষার মান নিশ্চিতে উচচশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামগ্রিক স্কোর ইমার্জিং হলেও কলেজগুলোর স্কোর ল্যাটেন্ট অর্থাৎ কলেজগুলোতে উচচশিক্ষার মানোন্নয়নের বিষয়টি মনোযোগের বাইরে রয়ে গেছে।
পর্যাপ্ত নজরদারির অভাবে কোন ধরনের নিয়মনীতি অনুসরণ না করেই পরিচালিত হচেছ নামে বেনামে গড়ে ওঠা বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যায়। তার পরও বেসরকারি পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্য দ্রুত বাড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয় মজ্ঞুরি কমিশনের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে দেশে অনুমোদনপ্রাপ্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৯৫টি। এর মধ্যে ১৯৯২ থেকে ২০১১ পর্যন্ত দুই দশকের অনুমোদন পায় ৫২টি বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ ২০১২ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত পাঁচ বছরের মধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৪৩টি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়। মান নিংন্ত্রণের গ্রহনযোগ্য পদ্ধতি অনুসরণ না করে দ্রুত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া উচচ শিক্ষাক্ষেত্রে বড় ধরনের ভ্য্যকুয়্যাম তৈরি করবে যা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। বিষয়টিতে আমাদের অমনোযোগী হলে চলবে না।
লেখক: মাছুম বিল্লাহ, লেখক শিক্ষা বিশেষজ্ঞ, গবেষক ও ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচিতে কর্মরত।