কলেজ সরকারি ঘোষণা : সাড়ে তিন বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

কিশোরগঞ্জের ১০টি বেসরকারি কলেজ সরকারি ঘোষণার প্রায় সাড়ে তিন বছর পরও বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে জেলার প্রায় ৫০০ শিক্ষক ও কর্মচারী বেসরকারি রয়ে গেছেন। এ সময়ের মধ্যে সরকারি সুবিধা ছাড়াই অবসরে গেছেন অর্ধশত শিক্ষক-কর্মচারী। সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি (সকশিস) সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ জুলাই সরকার ‘আত্তীকরণ বিধিমালা-২০১৮’ জারি করে। ১২ আগস্ট সরকারিকরণের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কলেজ সরকারি হলেও শিক্ষক ও কর্মচারীদের পদায়ন না করায় তাঁরা বেসরকারি রয়ে গেছেন।

সকশিস নেতারা অভিযোগ করেন, সরকারীকরণের কাজ চলছে ঢিমেতালে। এভাবে চললে মাউশি ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শেষ হতে আরো তিন-চার বছর লেগে যাবে। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে তত দিনে কিশোরগঞ্জের শতাধিক শিক্ষক ও কর্মচারী শূন্য হাতে অবসরে যাবেন।

সকশিস সূত্র জানায়, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সাংগঠনিক কাজে গত বছরের ১১ নভেম্বর কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর সরকারি কলেজে যান। ওই সময় কলেজের শিক্ষক ও সকশিস নেতারা উপমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর কাছে বিদ্যমান সংকট ও অভাব-অভিযোগ তুলে ধরেন তাঁরা। উপমন্ত্রী তাঁদের বলেছেন, সরকারীকরণের কাজ দ্রুত না হওয়ার নেপথ্যের বিষয়গুলো সম্পর্কে তিনি জানেন। বিষয়টি তিনি আন্তরিকভাবে দেখবেন বলে আশ্বাস দেন।

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ বি এম মহিব্বুল্লাহ অবসরে যান প্রায় এক বছর আগে। এরও আড়াই বছর আগে কলেজটি সরকারি হয়। তাঁর আক্ষেপ, ‘সারা জীবন শিক্ষা দান করে অবসরজীবনে আর্থিক চাপে পড়াটা দুঃখজনক।’

সকশিসের সহসভাপতি ও বাজিতপুর কলেজের শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মাউশিতে সমন্বিত পদ সৃজন প্রক্রিয়াটি একজন কর্মকর্তার কারণে বিলম্বিত হচ্ছে।’

সকশিস সভাপতি ও টাঙ্গাইলের মধুপুর সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘একটি মহল প্রতিপক্ষ হয়েছে। তাঁরা চাচ্ছে না যে সরকারিকরণের ঘোষণাটি দ্রুত বাস্তবায়ন হোক।’

মাউশির উপপরিচালক (কলেজ) ড. শাহ মো. আমীর আলী বলেন, ‘৩০৩টি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের কাগজপত্র যাচাই করা হচ্ছে। কাজটি শেষের পথে। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এগুলো ফের যাচাই করবে। এরপর জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয় এবং সচিব কমিটি হয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাবে। সেখান থেকে এসব কাগজপত্র আবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানোর পর পদ সৃজন ও পদায়ন করা হবে। এটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া।’ অবসরে যাওয়া শিক্ষক ও কর্মচারীদের বিষয়ে তাঁর ব্যাখ্যা, সরকারিকরণের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার সময়ে যাদের বয়স ৫৯ হবে, শুধু তাঁরা এই সুবিধা পাবেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে পরীক্ষার আগেই হবু শিক্ষকদের হাতে পৌঁছে যায় উত্তরপত্র: ডিবি - dainik shiksha পরীক্ষার আগেই হবু শিক্ষকদের হাতে পৌঁছে যায় উত্তরপত্র: ডিবি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0055830478668213