বরগুনায় অনিক চন্দ্র রায় নামে এক কলেজছাত্রকে অপহরণ ও খুনের দায়ে একজনের ফাঁসি ও দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ রায় দেন। তবে, সব আসামির ফাঁসির আদেশ না হওয়ায় কলেজছাত্রের পরিবার রায়ে সন্তুষ্ট নন বলে জানিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. সালাউদ্দীন (২৫) বরগুনা পৌরসভার থানা পাড়া এলাকার ছাত্তার গাজীর ছেলে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, বরগুনা সদর উপজেলার গৌরীচন্না এলাকার মো. নাজমুল (২৬) এবং থানাপাড়া এলাকার মো. রুবেল (২৫)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বরগুনা থানাপাড়া এলাকার নিজবাসা থেকে চা খেতে বাইরে গিয়ে নিখোঁজ হন কলেজছাত্র অনিক। এরপর অনিকের বাবা সুবল চন্দ্র রায়ের কাছে মুঠোফোনে দুই দফায় প্রথমে দুই লাখ ও পরে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন অপহরণকারীরা। কিন্তু মুক্তিপণের টাকা নিয়ে আমতলী যাওয়ার পর অপহরণকারীদের মোবাইলটি বন্ধ করে দেয়া হয়। তাই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি অনিকের বাবা সুবল চন্দ রায়। এ ঘটনায় ২০ সেপ্টেম্বর বরগুনা সদর থানায় সাধারণ ডায়রি করেন অনিকের বাবা। পরে এই সাধারণ ডায়রি অপহরণের পর হত্যা ও মরদেহ গুমের মামলায় পরিণত হয়। এ মামলায় মো. সালাউদ্দীন, মো. নাজমুল ও মো. রুবেলকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হলেও অনিকের পরিবারের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। তাদের প্রত্যাশা ছিল সব আসামিদের ফাঁসির আদেশ হবে।
অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী কমল কান্তি দাশ ও আবদুর রহমান নান্টু দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, মামলার রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি। এজন্য আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।