সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে কলেজছাত্র আশরাফুল ইসলাম (২০) হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান আসামি গ্রেফতার হওয়ার পর সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গ্রেফতার ইউসুফ আলী মোল্লা (১৯) ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে বোনের সাথে প্রেম ও বাড়ির পাশে মাটিকাটা নিয়ে বিরোধেই আশরাফুলকে হত্যা করেছে বলে আদালতে স্বীকার করেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে ইউসুফ আলী মোল্লাকে শনিবার রাতে আটক করা হয়। থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
এরপর রোববার দুপুরে তাকে শাহজাদপুর চৌকি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু শাহীন খান কনকের আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক তার খাস কামরায় দীর্ঘ ২ ঘণ্টাব্যাপী ইউসুফের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। বোনের সাথে প্রেম ও বাড়ির পাশে মাটিকাটা নিয়ে বিরোধের জেরধরেই সে আশরাফুলকে একাই হত্যা করেছে বলে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে স্বীকার করেছে। হত্যাকাণ্ডের আগে মোবাইলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে আশরাফুলকে অচেতন করা হয়।
এরপর জিআই তার গলায় পেছিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, জবানবন্দি রেকর্ড করার পরই আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। ইউসুফ আদালতে সত্য জবানবন্দি দিয়েছে কিনা এবং এ হত্যাকান্ডের সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেন, এই তদন্ত কর্মকর্তা।
শুক্রবার রাতে মোবাইলে ডেকে নিয়ে বাড়ির অদুরে শ্বাসরোধে হত্যার পর একটি ক্ষেতের মধ্যে উপজেলার নরিনা নতুনপাড়া হানিফনগর গ্রামের আজিত প্রামাণিক ছেলে কলেজ ছাত্র আশরাফুল ইসলামের লাশ ফেলে রাখা হয়। সে স্থানীয় সাতবাড়িয়া আব্দুস সামাদ আজাদ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যাণ্ড কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শনিবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে ইউসুফ আলী মোল্লাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সে একই এলাকার গ্রামের মৃত আবু তালেব মোল্লার ছেলে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে নিহতের বাবা আজিত প্রামাণিক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।