ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার দক্ষিন মনিকূড়া গ্রামে নাফি আল নাজরান (১৮) নামে এক পলিটেকনিক্যাল ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী কমিশনার শামসুদ্দিনসহ বার জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নিহতের পিতা নাজমুল হুদা বাদী হয়ে শনিবার (১৮ আগস্ট) রাতে মামলা করেন। ১২ আসামীর মধ্যে চারজন সিয়াম, সুলাইমান, অয়ন, হিমেলকে প্রথমদিনেই আটক করে পুলিশ।
অভিযুক্ত আসামীরা হলেন, কমিশনার শামসুদ্দিন (৫০), দক্ষিন মনিকূড়ার হালিমের পুত্র রাকিবুল হাসান সুমন (১৬), সিদ্দিকের পুত্র সিয়াম (১৫), হালিমের পুত্র মেহেদি হাসান হিমেল (১৫), মজিবরের পুত্র অয়ন হাসান (১৬), গোলাম হোসেনের পুত্র ছাইফুল (১৫), গাঙ্গিনার পাড়ের আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র আশিষ (১৬), আকনপাড়ার শামসুল আলম লিমনের পুত্র তাজ (১৬), আব্দুল মতিনের পুত্র সোহাগ (১৫), দক্ষিন মনিকূড়ার আলামিন (১৬), সন্ধাকুড়ার খাইরুল ইসলাম ভুট্টুর পুত্র সানি (১৬), পূর্ব মনিকূড়ার জামাল উদ্দিনের পুত্র রুকন (১৬)।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৭ আগস্ট) সন্ধায় ঋতু নামে এক মেডিক্যাল শিক্ষার্থী মোবাইলের গ্রুম মেসেঞ্জারে “ক্লেশ এন্ড ক্লেইম” নামে একটি মোবাইল গেইম খেললে সেখানে ওই একই গ্রুপ মেসেঞ্জারের অপর সদস্য উত্তরবাজার এলাকার হালিমের পুত্র সুমন(১৬) বাজে মন্তব্য করেন।
পরে ঋতু বিষয়টি তার খালাতো ভাই নিহত নাজরানকে জানালে নাজরান তার প্রতিবাদ করেন। সেই আক্রোশের জের ধরে শুক্রবার রাত আটটার দিকে সুমন তার সঙ্গীয় বন্ধুদের নিয়ে নাজরানকে বেধড়ক মারপিট করেন। ওইদিন ভোর পাঁচটায় হালুয়ঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যায়। নিহত নাজরান গৌরিপুর পলিটেকনিক্যাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। আর ঋতু দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী। ঋতু ধোবাউড়া রোদের এমদাদ মেম্বারের কন্যা।