কলেজছাত্রী হত্যা মামলার ৮ আসামি খালাস

নিজস্ব প্রতিবেদক |

গোপালগঞ্জে ঢাকার ইডেন কলেজের ছাত্রী সাদিয়া নূর মিতা হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত আট আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের চূড়ান্ত শুনানির পর মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী ফজলুল হক খান ফরিদ।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল। তিনি বলেন, চাক্ষুষ সাক্ষী না থাকায় আসামিরা খালাস পেয়েছেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ১৩ মার্চ ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এ মামলায় রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে তিন আসামি খন্দকার হাসিবুর রহমান নিপুন (২৬) ও খন্দকার মামুন হাসান (২৮) এবং মফিজ খন্দকার ওরফে ডগু খন্দকারকে (৫২) মৃত্যুদণ্ড দেন। আসামি কাজী শাহ আলম ওরফে তুষার কাজী (৩৫), শামসুর রহমান জনি (২৭), শেখ নাজমুল (২৫) ও ইসরাত জাহান শ্রাবণীকে (১৮) যাবজ্জীবন দণ্ড দেন। এছাড়া আসামি আনোয়ার হোসেন মনিকে (২৮) পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেন।

পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিসহ অন্য আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন। একইসঙ্গে তিন আসামির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। শুনানি শেষে মঙ্গলবার রায় দেন হাইকোর্ট।

নিহত মিতার বাড়ি গোপালগঞ্জের মিয়াপাড়ায়। কলেজ ছুটির পর গত ২০১০ সালের ২৪ আগস্ট মিতা পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকা থেকে বাড়িতে যান। ৩০ আগস্ট রাতে মিতা যে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলো সেখানে তার সঙ্গে একই বিছানায় তার আপন ছোট বোন অন্তরা এবং তার চাচাত বোন শ্রাবণী ঘুমিয়ে ছিলো। ওই রাতে সে নিখোঁজ হয়। পরদিন বিকেল ৩টার দিকে বাড়ির পাশে মোস্তফা শেখের পুকুর থেকে মিতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে মিতার বাবা লিয়াকত হোসেন মোল্লা বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০১১ খ্রিস্টাব্দের ২৯ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ওই বছরের ১৬ আগস্ট গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ গোলাম মুর্শেদ এ মামলায় ১০ আসামি মিতার ফুফাতো ভাই খন্দকার হাসিবুর রহমান নিপুণ, খন্দকার মামুন হাসান, চাচাতো ভাই শামসুর রহমান ওরফে জনি, আনোয়ার হোসেন ওরফে মনি, চাচাতো বোন ইসরাত জাহান শ্রাবণী, নিপুণের দুলাভাই মফিজ খন্দকার ওরফে ডগু খন্দকার, প্রতিবেশি জনির বন্ধু শেখ নাজমুল, জসিমুল ইসলাম, কাজী শাহ আলম তুষার ও মাসুম বিল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার কাজ শুরু করেন। পরে মামলাটি ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0060110092163086