রাজশাহীর বাগমারায় এক কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ছাত্রীর নাম তামান্না আক্তার (১৭) ওরফে টিয়া। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১০টায় একটি আমগাছের সঙ্গে তাঁর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।টিয়া উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের সমাসপাড়া গ্রামের আবদুর রশিদের মেয়ে ও পুঠিয়ার সাধনপুর পঙ্গু ও শিশুনিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
ছাত্রীর বাবা জানান, তাঁর মেয়ের সাথে সাধনপুর গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে শান্ত ইসলামের (১৯) প্রেমের সর্ম্পক ছিল। উভয়ের বিয়ের জন্য নিজ নিজ পরিবারকে জানায়। তবে কোনো পরিবার এটাকে মেনে নেয়নি। তিনিও তাদের বিয়ের প্রস্তাবে আপত্তি জানান। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাতে বখাটে শান্ত কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে তাঁর বাড়িতে আসেন। পরে বাড়ি থেকে টিয়াকে তুলে নেয় তারা। রাতে মেয়েকে উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করা হয়। তবে তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০মিটার দূরে পীরগাছা নামক স্থানে একটি আমগাছের সঙ্গে তাঁর মেয়ের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে লোকজন তাকে খবর দেয়। পরে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেয়েকে শনাক্ত করেন।
বাগমারা থানায় খবর দেওয়া হয়। তবে লাশটি নাটোরের নলডাঙ্গা থানা এলাকার মধ্যে থাকায় সেখানে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে নলডাঙ্গা থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
কলেজছাত্রীর বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। বখাটে শান্ত ক্ষোভে ও রাগে তাঁর মেয়ের সাথে এমন নৃশংসতা ঘটাতে পারে বলে সন্দেহ করেন তিনি।
বাগমারা থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, তাঁদের নলডাঙ্গা থানায় যোগাযোগের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বাগমারা থানার সীমান্তবর্তী পীরগাছা এলাকায় কলেজছাত্রীর লাশ পাওয়া গেছে।
নলডাঙ্গা থানার ওসি উজ্জল হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের পর হত্যার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। শরীরে আঘাতেরও কোনো দাগ নেই। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর অভিযোগের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।