বগুড়ায় কলেজছাত্রী প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার পিতা ফুলমিয়াকে কুপিয়ে জখম করেছে বখাটেরা। হামলার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। শুক্রবার (৯ আগস্ট) সোনারায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
সোনারায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ডাঃ জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রাঙ্গা, দুলাল করিম দুলাল, জাহাঙ্গীর আলম, আমজাদ হোসেন টুকু, সাব্বির হাসান জাফরু পাইকার, মন্টু মিয়া, ডাঃ শাহাদৎ হোসেন, জহুরুল ইসলাম, আঃ রহমান বাবলু, নান্নু মিয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিহাদ আল হাসান জুয়েল, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি শাকিল আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক মুক্তার, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু হায়াত সুইট, সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আলী, ইউপি মেম্বার শাহাদৎ হোসেন গামা, শফিকুল ইসলাম পাশা, আলেক উদ্দিন কালু, ডাঃ ফটু বাবলা ও ফজর আলী। বক্তারা বখাটে তরিকুল ইসলাম তরি’সহ অন্যান্য সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গাবতলী উপজেলার খুপি গ্রামের ফুলমিয়ার মেয়ে সুখানপুকুর সৈয়দ আহম্মদ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। । তার প্রতিবেশী ও সোনারায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কৃত তরিকুল ইসলাম তরি ওই ছাত্রীকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতো। তার প্রেমের প্রস্তাবেও রাজি হয়নি ছাত্রী। ঘটনা জেনে ছাত্রীর পিতা ফুলমিয়া কলেজ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করে এবং তরিকে নিষেধ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে গত ২ আগষ্ট সন্ধ্যায় ফুলমিয়াকে চাকু ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। ফুলমিয়া এখনো বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিসাধীন। ঘটনার পরের দিন ফুলমিয়ার ছেলে আমির হোসেন বাদী হয়ে তরিকুল ইসলাম তরিকে প্রধান আসামী করে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে। কিন্তু এখনো কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি।