রাজধানীর মিরপুর বনফুল আদিবাসী গ্রিনহার্ট কলেজের দোতলার সিঁড়ি থেকে একতলায় আকাশ নামের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্র পড়ে যায় বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ । ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছে। তারা কলেজের দরজা–জানালার কাচ ও ভেতরে থাকা গাড়ি ভাঙচুর করেছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আকাশ কলেজের দোতলার সিঁড়ি থেকে একতলায় পড়ে যায়। তাকে তাৎক্ষণিকভাবে আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁর সর্বশেষ অবস্থা এখনো জানা যায়নি।
কলেজের ভেতরে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে। তারা জানালার কাচ, স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রাইভেট কার ভাঙচুর করে।
বনফুল আদিবাসী গ্রিনহার্ট কলেজের রেক্টর সজল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘এই শিক্ষার্থী আগামী বছর উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা দেবে । সম্প্রতি পরীক্ষার ফল খারাপ হওয়ায় আজকে আমরা ফোন করে তার বাবাকে কলেজে আসতে বলি। এ কথা জেনেই ওই ছাত্র শ্রণিকক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। এরপরই এই ঘটনা ঘটে।’
মিরপুর বনফুল আদিবাসী গ্রিনহার্ট কলেজের স্কুল শাখাও রয়েছে। ভাঙচুরের ঘটনায় ভেতরে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী আটকা পড়ে। পরে বেলা দেড়টার দিকে সারি করে তাদের অভিভাবকের হাতে তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
খবর পেয়ে কলেজে আসেন পুলিশের পল্লবী জোনের সহকারী উপকমিশনার (এডিসি) কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘ছেলেটির চিকিৎসা হচ্ছে। আমরা তার খোঁজখবর নিচ্ছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। কলেজ ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
ছেলেটির অবস্থা সম্পর্কে জানতে নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে যোগাযোগ করলে চিকিৎসক মনসুর আহমেদ বলেন, ছেলেটি সুস্থ আছে। কথাবার্তা বলছে। তাঁর সিটি স্ক্যান হয়েছে। রিপোর্ট পেলে অবস্থা বোঝা যাবে। সে এখন স্বাভাবিক আছে।