ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার এমপিভুক্ত কাজী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজটিকে জাতীয়করণ করার ব্যাপারে আর কোনো বাধা নেই। গত ৫ এপ্রিল আদালত রিট পিটিশনের নিষ্পত্তিমূলক রায়ে জানিয়েছে, ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন ছাড়াই কলেজটিকে জাতীয়করণ করা যাবে।
কাজী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম কলেজটিকে জাতীয়করণের প্রক্রিয়া থেকে বাইরে রাখার সর্বশেষ প্রচেষ্টা হিসাবে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ২৩ আগষ্ট অধ্যক্ষ ও গর্ভনিং বডির একজন সদস্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। রিট পিটিশনে বিবাদি করা হয় শিক্ষা সচিব, অতিরিক্ত শিক্ষা সচিব (উন্নয়ন), মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষাসহ ছয় জনকে। রিট পিটিশনে বাদিপক্ষের দাবি ছিল গর্ভনিং বডির অনুমোদন ছাড়া কলেজটি যেন জাতীয়করণ করা না হয়।
দায়েরকৃত রিট পিটিশনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ হিসাবে কলেজের ২৬ জন শিক্ষকের পক্ষে সহকারী অধ্যাপক মোঃ মহসীন ইসলাম চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি তৃতীয় পক্ষ হিসাবে পিটিশনের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে হলফনামা দাখিল করেন। রিট পিটিশনটির শুনানি হয় বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের দ্বৈত বেঞ্চে। আদালত আইনজীবীগণের বক্তব্য শুনে গত রিট পিটিশনটি নিষ্পত্তি করে দেন এবং একই সঙ্গে জাতীয়করণ করার ক্ষেত্রে কিছু গাইড লাইন দেন। আদালত বলেন, প্রাইভেট স্কুল বা কলেজ জাতীয়করণের ক্ষেত্রে ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন ছাড়াই জাতীয়করণ করা হলে তা হবে আইন সম্মত।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি স্কুল ও সরকারি কলেজবিহীন উপজেলায় একটি করে মানসম্মত স্কুল ও কলেজ জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। বর্তমানে জাতীয়করণের প্রক্রিয়া চলমান আছে।