কামড় ও ষষ্ঠ হুমায়ুনের আশি লাখ!

আহসান কবির |

ষষ্ঠ হুমায়ুন এখনও ভাবনার জগতে আছে। কলেজ জীবনে তার এক বান্ধবী ছিল যার নাম ভাবনা। তাকে দেখে একদিন ষষ্ঠ হুমায়ুন গেয়ে উঠেছিল বাংলা ছবির জনপ্রিয় এক গান- ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা/হৃদয়ে সুখের দোলা!’ গান গাওয়ার পরিণতি ভালো হয়নি। বান্ধবীর প্রেম প্রত্যাশী একজন দলবল নিয়ে ষষ্ঠ হুমায়ুনকে বেদম পিটিয়েছিল। মাঝে মাঝে ঘটনাটা তার মনে পড়তো, না পাওয়ার বেদনার যে ঘ্রাণ সেটা ছড়িয়ে দিতে দিতে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসতো। ভাবনা ছিল ষষ্ঠ হুমায়ুনের জীবনের প্রথম  ‘দীর্ঘশ্বাস দুঃখ’ যা আজও আছে!

নিজের নাম নিয়েও তার খুব দুঃখ ছিল। অল্প কয়েক দিন ধরে সেই দুঃখবোধ আর নেই। তার মনে এখন আনন্দের বন্যা। চাইলে সে মোগল সম্রাট হুমায়ুনের মত ঘটা করে তার জন্মদিন পালন করতে পারে। চাইলে সে ‘পাঁচ হুমায়ুন’কে নিয়ে একটা স্মরণসভাও করে ফেলতে পারে। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে বাংলাদেশে ‘পাঁচ হুমায়ুন’ খুব বিখ্যাত ছিলেন। এই ‘পাঁচ হুমায়ুন’ হচ্ছেন- কবি হুমায়ুন কবির, সাংবাদিক-লেখক ও দৈনিক বাংলার এক সময়ের সম্পাদক আহমেদ হুমায়ুন, বহুমাত্রিক লেখক হুমায়ুন আজাদ, জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ এবং নমস্য অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদী। এই স্মরণ সভার শিরোনাম হতে পারে-‘পাঁচ হুমায়ুন’কে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছে ষষ্ঠ হুমায়ুন! তবে, আমাদের গল্পের হুমায়ুনের পিতৃপ্রদত্ত নাম হুমায়ুন হাসান ওরফে ষষ্ঠ হুমায়ুন। 

ষষ্ঠ হুমায়ুন এর আনন্দের কারণ ‘কামড়’! একটা কামড় যেমন তাকে সম্রাট হুমায়ুনের মত রাজ্য ছাড়া করেছিল সেই কামড়ের পরিণতি আবার তাকে একসাথে সরকারি কোষাগার থেকে আশি লাখ টাকা পাইয়ে দিয়েছে। কামড়ের পরিণতিতে আশি লাখ প্রাপ্তির কারণে নিজের নামটা সার্থক মনে হচ্ছে আবার সম্রাট হুমায়ুনের কথাও তার মনে পড়েছে। বেশি মনে পড়েছে ঘন্টা চুক্তিতে মোহাম্মাদপুরের অলিতে গলিতে রিক্সায় চড়ে ঘোরাঘুরির সময়ে।

ঢাকা শহরে মোহাম্মদপুর নামের একটা জায়গা আছে। মোহাম্মদপুরের একটা মাত্র রোড বাদ দিলে (এই একটা মাত্র ব্যতিক্রমের নাম সলিমুল্লাহ রোড। মুক্তিযুদ্ধের একজন মহান শহীদের নামে এই রোডের নামকরণ করা হয়েছে) বাকি প্রায় সবগুলো রোডের নাম  রাজা বাদশাহদের নামে রাখা হয়েছে। যেমন হুমায়ুন রোড, বাবর রোড, রাজিয়া সুলতানা রোড, শাহজাহান রোড, শের শাহ সূরী রোড, গজনবী রোড। 

 যাই হোক সম্রাট বাবর তাঁর পুত্র হুমায়ুনকে দিল্লীর সিংহাসন দখল করার দায়িত্ব দিলে সম্রাট হুমায়ুন সেটা পালন করেছিলেন, দিল্লী জয়ও করেছিলেন। কিন্ত পিতা সম্রাট বাবরকে না জানিয়ে দিল্লীর কোষাগার লুট করেছিলেন! আমাদের গল্পের ষষ্ঠ হুমায়ুন সরাসরি কোষাগার লুট না করলেও আদালতের নির্দেশে আশি লাখ টাকা পাচ্ছে। সম্রাট হুমায়ুনের রাজ্য চালানোর বাজেট আশি লাখ টাকা ছিল কিনা সন্দেহ আছে। কেউ কেউ বলে থাকেন প্রেমের শিল্পস্থান-খ্যাত তাজমহল বানাতে গিয়ে সম্রাট শাহজাহান ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন, দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল মোগল সম্রাজ্যে। 

ষষ্ঠ হুমায়ুনের আনন্দের অন্যতম কারণ হচ্ছে তার  নিজ রাজ্যে কখনও আর দুর্ভিক্ষ হবে না। জীবনে সে যা পায়নি তাই করবে। প্রয়োজনে সে হেরেম গড়ে তুলবে। প্রতিরাত সে হেরেমে কাটাবে। এখন সে বাসা ভাড়া দেয় বিশ হাজার। আশি লাখ টাকা পেলে ষষ্ঠ হুমায়ুন সেটা ঘরে আনবে না। ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট হিসেবে রেখে দেবে। ব্যাংকে  আশি লাখ থাকলে সে মাসে সত্তর হাজার টাকার কাছাকাছি পাবে। সে তখন ত্রিশ হাজার টাকা ভাড়ার একটা বাসাতে উঠবে। বাকি চল্লিশ হাজার টাকা দিয়ে সে ঠ্যাংয়ের ওপর ঠ্যাং তুলে খাবে। চাকরিতে ফের যোগদানের পর চাকরির বেতন দিয়ে কী করবে সে এখনও ভাবেনি।

ভাবনার কথা ষষ্ঠ হুমায়ুনের মনে পড়ে মাঝে মাঝে। কিন্তু রোবেনার কথা সে ভুলবে না কখনো। রোবেনাকে সে সুলতানা, রাবু, রুবি, রেবেকা আরও কতো নামে যে ডাকতো! রাবু তার পরিণত প্রেম। গল্প, শিহরন, হাতছানি, রোমাঞ্চ, সেক্স সবকিছু ছিল সে প্রেমে। শুধু পরিণতি ছিল না প্রেমের। পরিণতি না হওয়াটাই ছিল জীবনের আসল গল্প। ভাবনা এখন স্মৃতি, কিন্তু রাবু তার জীবনের গল্প হয়ে উঠেছিল। আশি লাখ টাকা পাবার গল্পে হুমায়ুন এখন যেভাবে রাবুর কথা বলে সেটা আর গল্প হয়ে ওঠা না, গল্প বলা। আশি লাখ টাকার গল্পে রাবু জীবন্ত, তবে কখনো-সখনো নকল। রাবু কোনো এক সময়ে ছিল শিহরন। যেমন শিহরন জাগতো জগৎবিখ্যাত নায়িকার র‌্যাকুয়েল ওয়েলস বা সোফিয়া লরেনকে দেখলে অর্থাৎ শিহরন জাগানো রাবু র‌্যাকুয়েল বা সোফিয়ার নকল। রাবু কয়েক বছর ধরে ছিল হুমায়ুনের অফিস ও বিছানার সঙ্গী। তখন রাবুকে পর্নো নায়িকা সানি লিওনি ভাবতো হুমায়ুন। সানি লিওনির বিখ্যাত মাথা গরম করা ‘ঐসব জিনিস’ ছেড়ে দিয়ে হুমায়ুন বলতো--আসো সানি লিওনি যা করছে আমরা সেটা নকল করি!

মানুষ তার জীবনের আসল গল্প সহসা বলতে চায় না। বেদনার সব কথাও মানুষ বলে না। মানুষ যে গল্প বলে সেটা তার যাপিত জীবনের অথবা অন্য কারো জীবন থেকে নকল করা গল্প! বানানো গল্পও অনেকে বলে।  সানি লিওনিকে নিয়ে অনেক বানানো গল্প আছে। যেমন-কিশোর কুমার মারা গেলেন। বিভিন্ন টেলিভিশন তাকে নিয়ে অনুষ্ঠান প্রচার করলো, তার গাওয়া গানের ফুটেজ দেখালো। বিখ্যাত নায়ক দেব আনন্দ মারা গেলেন। টেলিভিশনগুলো তাকে নিয়ে অনুষ্ঠান প্রচার করলো, কোনো কোনো টেলিভিশন তার সিনেমা দেখাল। এরপর এক দর্শক এক টেলিভিশন অফিসে টেলিফোন করে জানতে চাইলেন--আমার খুব সাধারণ একটা প্রশ্ন আছে। প্রশ্নটা হচ্ছে যেদিন সানি লিওনি মারা যাবেন সেদিন কী আপনারা তার ঐসব জিনিস টেলিভিশনে দেখাবেন? টেলিভিশনের যিনি টেলিফোন ধরেছিলেন তিনি টেলিফোন রাখার আগে বললেন-আপনি সম্ভবত মদ খেয়ে মাতাল হয়ে এমন প্রশ্ন করেছেন!

আমাদের গল্পের ষষ্ঠ হুমায়ুন রাবুর সাথে পরিচিত হবার আগ পর্যন্ত মদ খেত না কিন্তু ক্রমশই মাতাল হতে থাকে রাবু, রেবেকা বা রুবির প্রেমে। সেসব মাথা গরম করা কিন্তু হাজারো সাধারণ গল্পের মতোই। যেমন রাবু লেখাপড়ায় ভালো এবং দেখতে সুন্দর। তার দিকে যে কারো নজর পড়বেই। অন্যদিকে হুমায়ুন ভালো ছাত্র কিন্তু ভদ্রছেলে। সুঠাম দেহ। গৌরবর্ণ। তেমন টাকাকড়ি নেই। প্রেমের জন্য যে অনাবিল সাহস সেটাও তার ছিল না। তাই ভাবনার জন্য গান গেয়ে প্যাদানি খেয়েছিল। এরপর ইউনিভার্সিটি পাস করে বিসিএস দিয়ে শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষক পদে যোগ দেয় ষষ্ঠ হুমাযুন। একইভাবে  প্রধান শিক্ষক পদে যোগ দেয় রাবু। এরপর গল্পের শুরু অর্থাৎ পরস্পর পরিচিত হয় দুজন--রাবু ও হুমায়ুন। 

ষষ্ঠ হুমায়ুনের কাছে রাবু তখন বাংলাদেশি নায়িকা শাবানা-শাশ্বত বাংলার নারী। রাবু তখন ববিতা--বঙ্গ বিজয়ী তারকা। আর হুমায়ুন প্রেমে মাতাল কিন্তু ঠিক দেবদাস না। তার কাছে রাবু পার্বতী না। কারণ হুমায়ুন জেনে গেছে রাবুর বিয়ে হয়েছিল স্কুল জীবনেই। তার স্বামীও তাদের দুজনের মত সরকারি কর্মচারি ! রাবু সেটা হয়তো লুকিয়ে রাখতেই পছন্দ করে। তার হাবভাব পার্বতী সুলভ না হলেও চন্দ্রমুখী চন্দ্রমুখী মনে হয় হুমায়ুনের। প্রেমে মাতাল হুমায়ুন ভাবে পার্বতী ভালো কিন্তু একালের চন্দ্রমুখী  আরো ভালো। কিন্তু যায় দিন ভালো আসে দিন খারাপ। হুমায়ুনের কাছে রাবু শাবানা বা ববিতা ছিল সেটাই হয়তো ভালো ছিল। তার মনে পড়লো একটা ছড়া--যারে চাও তারে পাবা না/বলে গেছে নায়িকা শাবানা!  কিন্তু রাবু? সে কারো কারো কাছে সানি লিওনি হিসেবে পরিচিত হতে লাগলো। গুজব হোক আর বাস্তব হোক, আসল গল্প হোক আর নকল গল্প হোক, এমন কথা ছড়িয়ে পড়া শুরু করলো যে রাবুর সাথে মন্ত্রণালয়ের প্রধানের অন্যরকম সম্পর্ক আছে। কেউ কেউ বলা শুরু করলো রাবু মন্ত্রণালয়ের প্রধানকেও এখন গোনে না। তার সাথে এখন মন্ত্রী যোসমান হারুকের ‘হট কানেকশান!’ ততোদিনে কিন্তু রাবু আর হুমায়ুনের কানেকশান লুজ হয়ে গেছে। ভাবনাকে গান শুনিয়ে যে হুমায়ুন একদা প্যাদানি খেয়েছিল অনেকদিন পরে এসে তার ভয়ডরও অনেকটা কমেছে। সে তার চন্দ্রমুখী রাবুর কাছে এসে ভালোবাসার নিরঙ্কুশ বিজয় চাইলো। বললো --এখন থেকে রাবু কোথাও যেতে পারবে না। অন্যকোন চুনিলালের সামনে সে নাচবে না কিংবা কাপড় খুলবে না। রাবু এখন থেকে শুধুই হুমায়ুনের। রাবু সেটা মানলো না। ভালোবাসার হিসেব-নিকেশ খুলে হুমায়ুন খানিকটা জোর করতে চাইলো। রাবু রাগ করে বললো- ‘তোর মতো হুমায়ুন আমার আরও পাঁচটা আছে। যা ভাগ।’ ক্ষুধার্ত বাঘের মতো ঝাপিয়ে পড়লো হুমায়ুন। রাবু অনেক কষ্টে নিজেকে সরাতে চাইলো। পারলো না। শরীরের সমস্ত শক্তি জড়ো করে কামড় দিল হুমায়ুন। রাবু মা মা বলে চীৎকার করতে লাগলো। চীৎকার শুনে হতভম্ব  হুমায়ুন খানিক স্থবির হয়ে গিয়েছিল। সেই ফাঁকে নিজেকে কোনোভাবে স্বাভাবিক করে ভবন থেকে পালালো রাবু!

কিন্তু বহুদিন স্বাভাবিক হতে পারেনি হুমায়ুন। কারণ রাবু হুমায়ুনের বিরুদ্ধে মামলা করে। হুমায়ুন সাময়িক বরখাস্ত হয়। মামলার পরে বহু দিন বহু রাত যায়। হুমায়ুন মামলার হাজিরা দেয়। উদ্বাস্তুর মতো এখানে সেখানে ঘোরে। কখনো টিউশানী কখনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি করে নিজের মতো বেঁচে থাকার চেষ্টায় লিপ্ত হয়। ততোদিনে রাবু পেয়ে গেছে ওপরে ওঠার সিড়ি। ফলাফল ভালো পোস্টিং কিংবা ভালো স্কুলের হেডমাস্টারি। ছেলে মেয়েদের জাপান জার্মানী ইটালিতে যাবার সুযোগ। তখন আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকে রাবু। হতাশা ভর করে হুমায়ুনের ভেতর। সে কবিতায় মনোযোগী হয়--মগ্ন অতীত ভোগ করেছে ভীষণ বাড়াবাড়ি/সময় এখন নিজের ভেতর নিঃস্ব হলেই পারি!

তারপর আরও দিন যায়। সময়ের প্রভাব পরে দুজনের ওপর। ঘটনার প্রায় তের বছর পর গল্পটা আবার জমে ওঠে। বলা যায় ক্লাইমেক্স। ঘুরতে ঘুরতে, ধর্ণা দিতে দিতে, কোর্ট-কাছারি ভবনে ঘুরতে ঘুরতে হুমায়ুনের স্যান্ডেল ক্ষয় হলেও সে জিতে যায় মামলায়। সে চাকরি ফিরে পায় আবার। সিনেমার মতো হুমায়ুন বলতে পারে না -ফিরিয়ে দাও আমার জীবনের তেরটি বছর। সে বলতে থাকে, সে মামলার এজাহারে দাবী করে- ফিরিয়ে দাও আমার তের বছরের বেতন-ভাতা একসাথে! গত তের বছরের বেতন। মামলার রায়ে সেটাও পেয়ে যায় হুমায়ুন। তের বছরের বেতন-ভাতা একসাথে-আশি লাখ!

আসলে লেগে থাকাটাই জীবন। এজন্য হিন্দিী ছবির নাম হয়-লেগে রহো মুন্না ভাই। রাবুর ষষ্ঠ হুমায়ুন লেগে ছিল। তের বছর লেগে ছিল। কামড় দিয়ে সাময়িক চাকরি হারালেও তের বছর পরে যে তা ফিরে পাওয়া যায় তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ ষষ্ঠ হুমায়ুন। ষষ্ঠ হুমায়ুন এখনও ভাবনার জগতে আছে। আশি লাখ টাকা দিয়ে সে  এখন কী কী করবে? ব্যাংকে রাখবে? হেরেম বানাবে? বাংলা ছবির গল্প লিখবে -যার নাম রাবু হুমায়ুন? নাকি রাবুকে নিয়েও ভাববে? রাবু কী এখন আগের মতোই আছে? সে কী হাল আমলের ফ্যাশান হিজাব পরা ধরেছে? হুমায়ুন নিজে কী সব ভুলে হজ্জে যাবে? জীবনটা বদলে ফেলবে?

হুমায়ুনের ভাবনার শেষ হয় না!

আহসান কবির  রম্য লেখক, অভিনেতা ও কলামিস্ট। হেড অব প্রোগ্রাম, বৈশাখী টেলিভিশন। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0064899921417236