কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসারে 'বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড আইন-২০১৮' এর নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এই অনুমোদনের কথা জানান।
সচিব জানান, নতুন আইনে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড পরিচালনায় পরিচালনা পর্ষদ গঠন করার কথা বলা হয়েছে। এর আগে বোর্ডের মাধ্যমে এটি পরিচালিত হতো। পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হবে ২২ জন। এক তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে কোরাম হবে এবং পর্ষদের মিটিং করতে পারবে। পরিচালনা পর্ষদে সার্বক্ষণিক সরকার মনোনিত একজন সচিব থাকবেন, যিনি হবেন ন্যূনতম উপসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা।
এই আইনের ৪৩ ধারায় নতুন যে বিধি সংযোজন করা হয়েছে তার ফলে এখন আইন লঙ্ঘন করলে দেওয়ানি মামলা করা যাবে।
কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে যুগোপযোগী করতে 'বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড আইন-২০১৮' খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। আগের আইনে ছিল ৪৪টি ধারা, প্রস্তাবিত খসড়ায় ২৭টি ধারা। নতুন আইনে কারিগরি শিক্ষার নতুন নতুন কোর্স-কারিকুলাম স্থান পেয়েছে। সংসদে আইনটি পাস হলে বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের সাংগঠনিক কাঠামোতেও বড় পরিবর্তন আসবে। বর্তমানে ১৪ সদস্যের পরিচালনা বোর্ড এটি পরিচালনা করে। নতুন আইনে সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ২২ জন নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, সরকারের নিযুক্ত উপসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা প্রেষণে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সচিব পদে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।
নতুন আইনের প্রণীত খসড়ায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নিয়োগ, বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ, চেয়ারম্যানের দায়িত্ব ও ক্ষমতা নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে। সার্বিকভাবে বোর্ডের ক্ষমতা ও কার্যাবলিও সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরের বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ বছর। বোর্ডের তহবিল ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ ও বাজেট প্রণয়নের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। নিজস্ব জনবল পরিচালনার জন্য নিজস্ব প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বোর্ডকে। এ ছাড়া বোর্ডের অধীনে প্রতিটি কোর্স কারিকুলাম কীভাবে পরিচালিত হবে, কতদিন চলবে, পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা ও সনদ প্রদানের বিষয়গুলোর ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে বোর্ডকে।
নতুন আইনের প্রণীত খসড়ায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নিয়োগ, বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ, চেয়ারম্যানের দায়িত্ব ও ক্ষমতা নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে। সার্বিকভাবে বোর্ডের ক্ষমতা ও কার্যাবলিও সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরের বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ বছর। বোর্ডের তহবিল ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ ও বাজেট প্রণয়নের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। নিজস্ব জনবল পরিচালনার জন্য নিজস্ব প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বোর্ডকে। এ ছাড়া বোর্ডের অধীনে প্রতিটি কোর্স কারিকুলাম কীভাবে পরিচালিত হবে, কতদিন চলবে, পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা ও সনদ প্রদানের বিষয়গুলোর ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে বোর্ডকে।