কওমি মাদরাসাগুলোতে আগামীকাল শনিবার থেকে আগের রুটিনে পরীক্ষা চলবে। আবু দাউদ শরিফের পরীক্ষা ১ মে অনুষ্ঠিত হবে। ত্বহাহি শরিফের পরীক্ষা ২ মে (বৃহস্পতিবার) বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে। ৩ মে পরীক্ষা শেষ হবে।
পরীক্ষা স্থগিত ও প্রশ্নফাঁসের ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজধানীর ঢাকার সেগুনবাগিচায় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের বৈঠক শেষে জানানো হয়- প্রশ্নফাঁস রোধে তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় তত্ত্বাবধায়কের কাছে প্রশ্ন পাঠানো হবে।
সাংবাদিকদের হাইয়ার সদস্য মাওলানা মুসহেহুদ্দিন রাজু জানান, প্রশ্নফাঁস রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে কথা হয়েছে এবং সম্পূর্ণ নতুন নিয়মে প্রশ্ন পাঠানো হবে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির কো-চেয়ারম্যান আল্লামা আশরাফ আলী। এতে উপস্থিত ছিলেন সদস্য মুফতি ওয়াক্কাস, মুফতি রুহুল আমিন, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, মাওলানা মুসলিহ উদ্দীন রাজু, মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মুফতি এনামুল হক, মুফতি মুহাম্মদ আলী, মাওলানা আবদুল হামিদ (পীর শধুপুর), মাওলানা মাহফুজুল হক ও মুফতি নুরুল আমিন প্রমুখ।
এর আগে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠায় সম্মিলিত কওমি মাদরাসা শিক্ষা বিষয়ক সংস্থা হাইয়াতুল উলইয়ার চলমান দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) পরীক্ষা বাতিল হওয়ার পর গত ২৩ এপ্রিল (মঙ্গলবার) থেকে পুনরায় পরীক্ষা শুরু হয়।
৬টি কওমি মাদরাসাভিত্তিক শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রায় ২৬ হাজার ৭২১ পরীক্ষার্থী হাইয়াতুল উলইয়ার কেন্দ্রীয় এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে।
প্রসঙ্গত, জাতীয় সংসদে ‘কওমি মাদরাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিসের সনদকে আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’-এর অধীনে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান বিল-২০১৮’ পাস করার পর প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
চলতি বছরে দেশের ৬টি কওমি মাদরাসাভিত্তিক শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রায় ২৬ হাজার ৭২১ শিক্ষার্থীর আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। গত ৮ এপ্রিল থেকে দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা আরম্ভ হয়ে ১৮ এপ্রিল পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল।
২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমি শিক্ষা সনদের মান ঘোষণা করার পর হাইয়াতুল উলইয়ার অধীনে ৬ বোর্ডের সম্মিলিত দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা ইতোপূর্বেও দুবার (১৬-১৭ ও ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ) অনুষ্ঠিত হয়েছে।