ছাতকে প্রতিপক্ষের হামলায় আরজ আলী (৩৫) নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
বুধবার বিকেলে উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নের আশকাচর পয়েন্টে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আরজ আলী জাউয়া ইউনিয়নের খিদ্রাকাপন গ্রামের মৃত আসদ আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার জাউয়া সিএনজি স্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠা-নামা নিয়ে আরজ আলীর সাথে অপর সিএনজি চালক চরমহল্লা ইউনিয়নের টেটিয়ারচর গ্রামের নূর উদ্দিনের ছেলে খালেদ আহমদের বাক-বিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ সময় খালেদের পক্ষ নিয়ে স্ট্যান্ডে থাকা একই গ্রামের সিএনজি চালক ফারুক মিয়া ও আব্দুস ছালাম আরজ আলীর সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি স্ট্যান্ডের অন্যান্য চালকদের মধ্যস্থতায় তাৎক্ষণিক নিষ্পত্তি করা হয়।
বুধবার বিকেলে যাত্রী নিয়ে জাউয়া থেকে আশাকাচর পয়েন্টে পৌঁছলে আগে থেকে সেখানে থাকা প্রতিপক্ষরা দা ও লাঠি নিয়ে আরজ আলীর ওপর হামলা চালায়।
এক পর্যায়ে আরজ আলী প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে পার্শবর্তী সানরাইজ কিন্ডারগার্টেনে গিয়ে আশ্রয় নেন। এ সময় কিন্ডারগার্টেনে পরীক্ষা চলছিল। হামলাকারী শ্রেণিকক্ষের ভেতরে প্রবেশ করে আরজ আলীকে দা-দিয়ে কুপিয়ে আহত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে সশস্ত্র হামলাকারীদের মারমুখী আক্রমণ দেখে কিন্ডারগার্টেনে পরীক্ষারত শিক্ষার্থীরা প্রাণের ভয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়।
পরে আরজ আলীকে প্রথমে কৈতক ও পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে জাউয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।