ঢাকার মোহাম্মদপুরে রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকালে কলেজ ক্যাম্পাসে দৈনিক প্রথম আলোর সাময়িকী কিশোর আলোর একটি অনুষ্ঠান চলাকালে নবম শ্রেণির ছাত্র নাইমুল আবরার রাহাত (১৫) বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি জিজি বিশ্বাস বলেন, ‘কি আনন্দ’ শিরোনামে ওই অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি করা মঞ্চের পেছনে নাইম বিদ্যুৎষ্পৃষ্ট হন। আয়োজকরা তাকে মহাখালীর আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।
পরিবারের আবেদনে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
কলেজের দিবা শাখার ছাত্র নাইমের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী। ঢাকার আগারগাঁওয়ে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন তিনি।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে কলেজের একজন শিক্ষক বলেন, অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছিলেন। কয়েকজন ছাত্র সেখানে গল্প করছিল। এর মধ্যে নাইম কোনো কারণে জেনারেটরের উপর পড়ে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। এ সময় সহপাঠীরা তাকে ছাড়াতে চেষ্টা চালায়। পরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তাকে উদ্ধার করা হয়।
“আয়োজকরা তাকে কাছের সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে না নিয়ে মহাখালীর আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যায়।”
আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতাল নামে পরিচিত মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ওই অনুষ্ঠান আয়োজনে অংশীদার ছিল বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হককে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
তবে ঘটনাটি নিয়ে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে কিশোর আলোর অনুষ্ঠান দেখতে এসে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল কলেজের ক্লাস নাইনের ছাত্র নাইমুল আবরার বিদ্যুতায়িত হয়। ওখানেই জরুরি মেডিক্যাল ক্যাম্পে তাকে নেয়া হয়। দুজন এফসিপিএস ডাক্তার দেখেন। জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নিতে বলেন। হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
“আমার জীবনে এর চেয়ে মর্মান্তিক খবর আমি আর পাই নাই। আমি এখন হাসপাতালে আছি। প্রিন্সিপাল স্যার আছেন। নাইমুল আবরারের বাবা-মা এবং আত্মীয়রা আছেন। আমি ও কিশোর আলো আজীবন আবরারের পরিবারের সঙ্গে থাকবো। যদিও এই অপূরণীয় ক্ষতি কিছুতেই পূরণ হবে না।
“আমি কিংকর্তব্যবিমুঢ় অবস্থায় আছি। নাইমুল আবরারের জন্য দোয়া করছি। একটু সুস্থ হলে আপনাদের জানাব।”