বয়োঃসন্ধিকালে কিশোর বয়সীদের বইমুখী করে তুলতে ‘বিশেষ টার্গেট’ নিতে অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন লেখক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশের গ্রন্থমেলার তৃতীয় শিশু প্রহরে এসে তিনি এই অনুরোধ জানিয়েছেন।
জাফর ইকবাল বলেন, “একেবারে শিশু না, কিশোর... এই যারা ক্লাস সেভেন এইটে পড়ে..... এই বয়সটায় তার সবকিছু মনস্তাত্বিক পরিবর্তন ঘটে এবং শিক্ষণীয় সময়টা পার করে। বই পড়াতে আমাদের ওই সময়টাকে আরও একটু টার্গেট করা যেতে পারে।”
নানা ‘গেজেট’ হাতে চলে আসায় এখনকার কিশোরদের যথাযথ বিকাশ হচ্ছে না বলে মনস্তত্ববিদরা বলছেন।
জাফর ইকবাল বলেন, “বাচ্চাদের ইউটিউব-ফেইসবুক থেকে সরিয়ে নিয়ে আসুন। মোবাইল স্ক্রিন থেকে ওদের সরিয়ে আনুন। স্ক্রিন হচ্ছে একমুখী, সে আমাকে দেয়, আমি কিছু দিতে পারি না। কিন্তু বই তো একমুখী না।
“বাবা-মাকে বলবো, আপনারা একটু বাচ্চাদের হাতে টাকা দেন, ওরা বই কিনুক। উৎসাহ দেন বই পড়ার জন্য।”
বই পড়ার মাধ্যমে চিন্তার জগতের প্রসার ঘটার কথা কিশোরদের সামনে তুলে ধরেন এই লেখক।
“আমি যখন বই পড়ি তখন কল্পনা করি, চিন্তা জাগে, আর এটা একটা প্রক্রিয়া। কিন্তু ফেইসবুক দেখলে বা ইউটিউব দেখলে তো কোনো প্রক্রিয়া হয় না, শুধু ভালো লাগা জন্মে।”
শিশু-কিশোরদের বইমুখী করতে বিদ্যালয়গুলোও ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন জনপ্রিয় এই লেখক।
“প্রত্যেকটা স্কুল যদি দায়িত্ব নেয় যে, আমাদের স্কুলের সব শিশুদের আমরা মেলায় নিয়ে যাব, সে ব্যাপারটাও বেশ ভালো হয়। আগে থেকে মেলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সব বাচ্চাদের নিয়ে আসা হলো মেলায়। ওরা ঘুরল, বেড়াল, শিখল।”
পুরো মেলাপ্রাঙ্গণ ঘুরে দেখার সময় জাফর ইকবাল তার ক্ষুদে ভক্তদের অটোগ্রাফ দেন, তাদের সেলফির আবদার মেটান।