শার্ট-প্যান্ট পরেই এবার যেতে হবে মাদ্রাসায়

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

আগেই জানানো হয়েছিল ভারতের উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসাগুলিতে পড়ানো হবে দেশটির জাতীয় শিক্ষাক্রমের সিলেবাসের বই। শুধু তাই নয়, বলা হয়েছিল মাদ্রাসাগুলিতে বাধ্যতামূলকভাবে পড়াতে হবে গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ও।

এবার কোপ পড়ল তাদের পোশাকের ওপর। উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবার থেকে কুর্তা পায়জামা নয়, ছাত্রদের পরতে হবে শার্ট প্যান্ট। মঙ্গলবার এমনই ঘোষণা করেছেন সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী মহসিন রাজা।

মহসিন বলেন আধুনিক এনসিইআরটি সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে মাদ্রাসা। এবার তাদের পোশাকেও পরিবর্তন আনলে তবেই সম্পূর্ণ রূপে মাদ্রাসায় পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছে রাজ্য সরকার।

আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষত হলে, আর মুসলিমদের অনগ্রসর শ্রেণী হিসেবে ধরা হবে না। সমাজের সব ক্ষেত্রে তারা অবদান রাখতে পারবেন বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী।

এরআগে, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন মাদ্রাসা বন্ধ করে দিলেই মুসলিমদের উন্নয়ন হবে না, প্রয়োজন মাদ্রাসাগুলির আধুনিকীকরণ। মাদ্রাসাগুলি বন্ধ করে দেওয়ার দাবি নিয়ে কিছুদিন আগেই আদিত্যনাথ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি দিয়েছিলেন শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের প্রধান ওয়াসিম রিজভি। মাদ্রাসাগুলি ‘জঙ্গিদের জন্ম দেয়’ এমন অভিযোগ ছিল তাঁর। তবে সেই দাবিতে তাঁর যে সমর্থন নেই সে কথাই এ দিন জানিয়ে দিলেন যোগী আদিত্যনাথ।

আদিত্যনাথ বলেন, ‘মাদ্রাসাগুলি বন্ধ করে দেওয়া কোনো সমস্যার সমাধান হতে পারে না। বরং আমাদের উচিত মাদ্রাসাগুলিকে কীভাবে আধুনিকীকরণ করা যায় সেই দিকে নজর দেওয়া। এমনকি সংস্কৃত স্কুলগুলিরও আধুনিকীকরণ প্রয়োজন। মাদ্রাসাগুলিতে কম্পিউটারও চালু করা উচিত। মুখে সংখ্যালঘু উন্নয়নের কথা বললেই চলবে না। আমাদের অনেক কিছু করতেও হবে।’

উল্লেখ্য, রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন খাতে ১৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে যোগী সরকার। এর মধ্যে ৪৯৪ কোটি টাকা খরচ করা হবে মাদ্রাসায় আধুনিক শিক্ষা চালু খাতে। সম্প্রতি রাজ্যের ৪৬টি মাদ্রাসায় সরকারি সাহায্য বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। কারণ ওইসব মাদ্রাসাগুলি রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকা মেনে চলছিল না।

উত্তরপ্রদেশে মাদ্রাসার সংখ্যা ১৬ হাজারের বেশি। ৫৬০টি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত। আর সাড়ে চার হাজার মাদ্রাসা আংশিক সরকারি সাহায্য পায়। সিলেবাসে বদল হবে সব মাদ্রাসাতেই। সম্প্রতি মাদ্রাসাগুলিকে তাদের ক্লাসরুমের ছবি বা সেখানকার পুরো এলাকার ছবি আপলোড করতে বলা হয় বোর্ডের ওয়েবসাইটে। কতজন শিক্ষক পড়ান, তাদের আধার নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্যও পেশ করতে বলা হয়। বলা হয়, মাদ্রাসাগুলির কাজকর্মে স্বচ্ছতা আনা, গুণগত মান বাড়াতেই এই পদক্ষেপ।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
স্কুল-কলেজ, মাদরাসা খুলবে ২৮ এপ্রিল - dainik shiksha স্কুল-কলেজ, মাদরাসা খুলবে ২৮ এপ্রিল সাত দিন বন্ধ ঘোষণা প্রাথমিক বিদ্যালয় - dainik shiksha সাত দিন বন্ধ ঘোষণা প্রাথমিক বিদ্যালয় তীব্র গরমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা - dainik shiksha তীব্র গরমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ছাত্ররাজনীতি লাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছে : ড. আইনুন নিশাত - dainik shiksha ছাত্ররাজনীতি লাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছে : ড. আইনুন নিশাত কারিগরির সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি - dainik shiksha কারিগরির সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি মাদরাসায় ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি - dainik shiksha মাদরাসায় ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0090739727020264