সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় নির্ধারিত আসনের ১০ গুণ বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারবে না বলে জারি করা শর্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না , তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রোববার (২৪ নভেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে সাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, আহ্বায়ক ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী ফাইজুল্লাহ ফয়েজ জানান, সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বতি ভর্তি পরীক্ষায় ৭৪ হাজার শিক্ষার্থী আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নির্ধারিত আসনের ১০ গুণের বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারবে না বলে শর্ত জারি করেছে। এই শর্তের ফলে মাত্র ৩৪ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারবেন। আর বঞ্চিত হবেন প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী। তাই আদালত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওই শর্তকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছেন।
এর আগে মোট আসন সংখ্যার ১০ গুণের বেশি পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না শর্ত দিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সমন্বিতভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
পরে গত ১৮ নভেম্বর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনকারী সব শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। শিক্ষার্থীদের পক্ষে ব্যারিস্টার সালেহ আকরাম সম্রাট এ রিট দায়ের করেন।
পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকের কাছ থেকে এক হাজার করে টাকা আদায় করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অথচ প্রায় ৪০ হাজার পরীক্ষার্থী কোন অযোগ্যতার কারণে পরীক্ষা দিতে পারবে না, তা কর্তৃপক্ষ জানায়নি বলে রিটে উল্লেখ হয়েছে।
