কে হচ্ছেন মহাপরিচালক

নিজস্ব প্রতিবেদক |

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো: মাহাবুবুর রহমানের অকাল মৃত্যুতে শোকের সাগরে ভাসছেন শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ৩ নভেম্বর সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে ইহলোক ত্যাগ করেন অধ্যাপক মাহাবুব। কুলখানি ও শোকসভার বিষয়ে পরিবারের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে দৈনিক শিক্ষাকে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। গত ২৩ সেপ্টেম্বর অসুস্থ অবস্থায় সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় মহাপরিচালককে। ওইদিন থেকেই মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ শাখার পরিচালক মরিয়া হয়ে ওঠেন ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব পেতে। মহাপরিচালক চিকিৎসাধীন থাকাকালে বিএনপিপন্থী হিসেবে শিক্ষা প্রশাসনে পরিচিত প্রশিক্ষণ শাখার পরিচালক শিক্ষা অধিদপ্তরের নানা স্থাপনার সংস্কার ও উন্নয়নসহ তার এখতিয়ার বহির্ভূত নানা কাজ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যদিও বিধান অনুযায়ী কলেজ ও প্রশাসন শাখার পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ শামছুল হুদাই মহাপরিচালকের রুটিন দায়িত্ব পালন করেন।

কলেজ ও প্রশাসন শাখার পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ শামছুল হুদা

জানা যায়, মহাপরিচালকের মৃত্যুর পর ফের তৎপর হয়ে উঠেছেন শিক্ষা ক্যাডারের কয়েকজন কর্মকর্তা। এদের মধ্যে নায়েমের ডিজি ও মাউশি অধিদপ্তরেরই কয়েকজন পরিচালক ও প্রকল্প কর্মকর্তার নাম সবার মুখে মুখে। নায়েমে অনিয়মিত অফিস করেন মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া তুলনামূলক জুনিয়র একজন অধ্যাপক। তিনিই আবার মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদের জন্য তদবির করছেন শুনে অনেকেই অবাক হচ্ছেন।  

তবে একাধিক সূত্রমতে, মহাপরিচালকের বিষয়ে নবগঠিত স্বাধীনতা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সংসদের নেতাদের দেয়া মতামত ও তথ্য খুবই গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাধীনতা শিক্ষা সংসদের একজন যুগ্ম আহ্বায়ক দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, বদলি ও পদায়নের বিষয়ে তদবির বা সুপারিশ করা আমাদের সংগঠনের নীতিবিরুদ্ধ। বদলি ও পদায়নের তদবিরে ব্যস্ত থাকায় শিক্ষা ক্যাডারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে যুগ যুগ যাবত। তাই নতুন মহাপরিচালক হিসেবে আমরা কারও জন্য তদবির বা সুপারিশ করব না। 

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ক্যাডারে দীর্ঘদিন চাকরি করার ফলে আমাদের নানা অভিজ্ঞতা হয়েছে। মহাপরিচালকের বিষয়ে সরকারের শীর্ষ মহল থেকে যদি মাউশিতে বা শিক্ষার অন্য দপ্তরে কর্মরত কোনও সিনিয়র অধ্যাপকের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য জানতে চাওয়া হয়, তাহলে অবশ্যই আমরা সঠিক তথ্যটি সরবরাহ করব। যাতে সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। 
জানতে চাইলে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের একটি সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে জানায়, নতুন কারো কথা ভাবার সময় নেই। ভারপ্রাপ্ত দিয়েই চলতে পারে আরও কয়েকমাস।   


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার - dainik shiksha তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার - dainik shiksha স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন - dainik shiksha নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0055770874023438