এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় আটটি সাধারণ, একটি মাদরাসা ও একটি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে দেশের ৫৫টি প্রতিষ্ঠানে একজনও পাস করেনি। গত বছরের চেয়ে এবার শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে। গতবছর শূন্য পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৭২টি।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। সেখানে তিনি ফলাফলের সংক্ষিপ্ত কিছু তথ্য তুলে ধরেন।
গত বছর পাসের হার ছিল ৬৮ দশমিক ৯১ ভাগ। সেবার পাস করেছিল আট লাখ এক হাজার ৭১১ জন। এ বছর পাসের হার কমেছে ২ দশমিক ২৭ ভাগ। অর্থাৎ গতবারের চেয়ে এবার ৫৭ হাজার ৯০ জন কম পাস করেছে।
গত বছর জিপিএ ৫ পেয়েছিল ৩৭ হাজার ৯৬৯ জন। এ বছর জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৯ হাজার ২৬২ জন। কমেছে আট হাজার ৭০৭ জন।
গত বছর শতভাগ পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫৩২টি। এবার সেই সংখ্যা ৪০০-তে নেমে এসেছে। অর্থাৎ শতভাগ পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ১৩২টি।
অন্যদিকে এ বছর ৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করতে পারেনি। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৭২টি। অর্থাৎ এ ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৭টি কমেছে।
গত ২ এপ্রিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলে গত ১৩ মে পর্যন্ত। আর ১৪ থেকে ২৩ মের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এ বছর পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৬ লাখ ৯২ হাজার ৭৩০ জন ছাত্র ও ৬ লাখ ১৮ হাজার ৭২৭ জন ছাত্রী।
এইচএসসিতে আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে অংশ নেয় ১০ লাখ ৯২ হাজার ৬০৭ শিক্ষার্থী। আর মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে ১ লাখ ১২৭ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম)-এ ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৪ জন ও ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজে (ডিআইবিএস) পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯৬৯।
এ ছাড়া বিদেশের সাতটি কেন্দ্রে ২৯৯ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। তাদের মধ্যে ১৫৯ জন ছাত্র ও ১৪০ জন ছাত্রী।