কেন্দ্র থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থীর খাতা উধাও!

জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি |

নীলফামারীর জলঢাকায় এসএসসির উচ্চতর গণিত পরীক্ষার একটি খাতা খুঁজে না পাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

হারিয়ে যাওয়া খাতাটি পঙ্কজ রায় নামে এক শিক্ষার্থীর। তার রোল নম্বর ২১১০৬৫। সে উপজেলার কৈমারী স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।

কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, রোববার ওই কেন্দ্রে বিজ্ঞান বিভাগের উচ্চতর গণিত ও মানবিক বিভাগের সাধারণ বিজ্ঞান এ দুটি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন মোট ১ হাজার ৩৩ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে উচ্চতর গণিতে ৩১১ জন ও সাধারণ বিজ্ঞানে ৭২২ জন পরীক্ষার্থী ছিল। ঘটনার দিন কেন্দ্রের ১১নং কক্ষে উচ্চতর গণিতে ৩৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করলেও পরীক্ষা শেষে দায়িত্বরত শিক্ষকরা ৩৪টি খাতা জমা পান। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত হারিয়ে যাওয়া খাতার কোনো খোঁজ পাননি তারা।

পঙ্কজ রায় দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‌‘পরীক্ষা শেষে আমি খাতাটি ম্যাডামের কাছে জমা দিয়েছি।'

কক্ষে দায়িত্বরত কক্ষ পরিদর্শক মাধবী লতা ও মনোরঞ্জন রায় দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ‘আমাদের কক্ষে ৩৫ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে। কিন্তু খাতা জমা পেয়েছি ৩৪টি, একটি খাতা পাওয়া যাচ্ছে না।’

খাতা হারিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে কেন্দ্র সচিব আতাউর রহমান বিএসসি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘বিষয়টি আমরা লিখিতভাবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে জানিয়েছি এবং আগামী পরীক্ষা থেকে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব থেকে মাধবীলতা ও মনোরঞ্জন রায়কে পরিদর্শকের দায়িত্ব থেকে তাদেরকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি।’

এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চঞ্চল কুমার ভৌমিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক। তবে ওই কেন্দ্রের পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কেউ এর দায়ভার এড়াতে পারেন না।’

উল্লেখ্য, এর আগেও চলতি এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে ওই কেন্দ্রে হিন্দু ধর্ম পরীক্ষায় বিষয় কোড ভুল করায় কেন্দ্র সচিব তোফায়ালুর রহমানকে ও ট্যাক অফিসারকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছিল এবং নতুন কেন্দ্র সচিব হিসাবে আতাউর রহমান (বিএসসি) দায়িত্ব পান।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ - dainik shiksha স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে - dainik shiksha শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030810832977295