কেন্দ্র সচিবের অবহেলায় নড়াইল সদর উপজেলার চালিতাতলা সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬৮ জনই ফেল করেছে। এর প্রতিবাদে অকৃতকার্য শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকেরা সোমবার দুপুরে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন।
চালিতাতলা সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধ্রুব কুমার ভদ্র বলেন, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় স্কুল থেকে মোট ৭৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে নিয়মিত ৭১ জন ও অনিয়মিত শিক্ষার্থী ৬ জন। সোমবার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, ৭৭ জনের মধ্যে অনিয়মিত ৬ জনসহ মাত্র ৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় পাস করেছে। বাকি ৬৮ জনের সবাই ফেল।
প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, তাঁর স্কুলের পরীক্ষার্থীরা নড়াইল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী স্কুল থেকে তথ্য ও প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ের পরীক্ষার ব্যবহারিক নম্বর কেন্দ্র সচিবের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু কেন্দ্র সচিব পরীক্ষার্থীদের ব্যবহারিক নম্বর যশোর শিক্ষা বোর্ডে না পাঠানোর কারণে এত জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে।
হাবিবুর রহমান নামের এক অভিভাবক বলেন, পরীক্ষার্থীদের জীবন নষ্ট করে দিয়েছে এই ফলাফল।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রসচিব নড়াইল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিতোষ কুমার দে বলেন, সার্ভারে সমস্যা হওয়ার কারণে ৯ জনের নম্বর পাঠানোর পর বাকিদের নম্বর যশোর শিক্ষা বোর্ডে পাঠাতে পারিনি। যে কারণে ফলাফলে এই সমস্যা হয়েছে।
এ খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক আঞ্জুমান আরা স্কুলে এসেছিলেন। তিনি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্রের সাথে কথা বলেছেন। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেছেন, নম্বরগুলো বোর্ডে নিয়ে গেলে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে।