কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৩০ জন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২০ জানুয়ারি) কোচিং বাণিজ্যের প্রমাণ পাওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযানে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে শোকজ জারি করতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়।
এছাড়া, ভর্তি সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগে গঠিত হয়েছে একটি তদন্ত কমিটি।
দুদক হটলাইনে (১০৬) অভিযোগ পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ওই স্কুলে অভিযান চালায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. জাভেদ হাবীব এবং উপ-সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়ার সমন্বয়ে গঠিত একটি দল।
সরেজমিন পরিদর্শনে দুদক টিম দেখতে পায়, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকরা ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে কোচিং করাবেন না, এই মর্মে অঙ্গীকারনামা প্রদান করা সত্বেও নীতিমালা ভঙ্গ করে শিক্ষার্থীদের কোচিং করতে বাধ্য করছেন। দুদক টিমের নির্দেশে তাৎক্ষণিকভাবে এ অনিয়মের সাথে জড়িত ৩০ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করা হয়।
অভিযানকালে দুদক টিম দেখতে পায়, নবম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী বার্ষিক পরীক্ষায় বেশ কয়েকটি বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়া সত্বেও একজন শ্রেণিশিক্ষক তাদের দশম শ্রেণিতে ভর্তি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। দুদক টিমের উপস্থিতিতে এ অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এর আগে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে ভিআইপি কোটাকে সামনে রেখে ভর্তি বাণিজ্যের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গত ১৭ জানুয়ারি দুদকের একটি দল ওই স্কুলে অভিযান চালায়।
দুদক টিম প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পায়। এ বিষয়ে অধিকতর যাচাই চলমান রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে এনফোর্সমেন্ট টিমের সমন্বয়ক দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভর্তি এবং কোচিং বাণিজ্য সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগ দুদক গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। দুদকের তৎপরতায় শিক্ষা সংক্রান্ত অভিযোগসমূহে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’