নওগাঁর ধামইরহাটে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনলাইনভিত্তিক পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। স্থানীয় ডিস লাইনের মাধ্যমে এ এলাকার হাজারো শিক্ষার্থী ঘরে বসে শিক্ষাগ্রহণ করছে। দেরিতে হলেও এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অভিভাবকেরা।
জানা যায়, সারাদেশে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে চলতি বছরের ১৭ মার্চ থেকে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। সেই থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা ঘরমুখী হয়ে পড়ে। প্রায় সাড়ে ৩ মাস ধরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা অলস হয়ে পড়ে। অভিভাবকরা এ পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। উপজেলা মাধমিক শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে এবং উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অবশেষ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে স্থানীয়ভাবে শুরু হয়েছে অষ্টম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত অনলাইনভিত্তিক পাঠদান কার্যক্রম।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহফুজুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার (৭ জুলাই) থেকে এ উপজেলায় স্থানীয় ডিস লাইনের মাধ্যমে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে শুরু হয়েছে পাঠদান কার্যক্রম। আগের দিন ক্লাস রেকর্ডিং করে পরের দিন সেটি প্রচার করা হচ্ছে। প্রত্যেক দিন দুটি শ্রেণির দুটি করে পাঠদান প্রচার করা হচ্ছে। প্রত্যেকদিন সকাল ১০টা ২৫ মিনিট থেকে ৩০ মিনিট স্থায়ী পাঠদান শুরু হয়ে শেষ হয় ১১টা ৫৫ মিনিটে।
অনলাইনে ক্লাস চালু হওয়ার পরেও এ উদ্যোগ কেন নিলেন এবং এই ক্লাস প্রচারের খরচ কীভাবে আসবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এই এলাকা তুলনামূলকভাবে অনুন্নত। এই এলাকার অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের দ্বারা এমবি কিনে অনলাইনে ক্লাস দেখা সম্ভব নয়। এতে শিক্ষার্থীদের তেমন কোনো খরচ হবে না। তারা যেন এই পাঠদান থেকে বাদ না পরে এজন্যই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এবং যতদিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ততদিন আমাদের এ কার্যক্রম চলমান রবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মোবারুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ধামুরহাট উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাহেব যে উদ্যোগ নিয়েছেন নিঃসন্দেহে সেটা একটি ভালো কাজ। পর্যায়ক্রমে জেলার প্রতিটি উপজেলায় এটি চালু করা হবে।
প্রথম দিন ক্লাসের শুরুতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার গণপতি রায়,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহফুজুর রহমান, একাডেমিক সুপারভাইজার কাজল কুমার সরকার, প্রধান শিক্ষক এসএম খেলাল-ই-রব্বানী, প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান, প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক মুকুল হোসেন প্রমুখ।