রাজশাহীতে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে হাবিবুর রহমান শান্ত (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। নিহত শান্ত দামকুড়া কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) গোদাগাড়ীর কদমশহর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এঘটনায় স্বপন আলী (১৮) আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত হলেন, কদমশহর এলাকার আজিবুর রহমানের স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৫০)। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এর আগে তাকে আটক করে থানায় আনা হয় বলে দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন গোদাগাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল ইসলাম।
ওসি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও বলেন, কলেজছাত্র শান্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন বাবা সাদিকুল ইসলাম।
আসামিরা হলেন, সাজেুল ইসলাম সাজু (১৮) ও মাজেদুল ইসলাম মাজু (২৫), তাদের বাবা আজিবুর রহমান, আজিবুরের স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৫০) ও আরও একজন। এই মামলায় মর্জিনাকে আদালতে চালান দেয়া হয়েছে। নিহত শান্ত দামকুড়া কলেজের একাদশ শ্রেণি ছাত্র।
জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত সাজেুল ইসলাম সাজু (১৮) ও মাজেদুল ইসলাম মাজু (২৫) ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। তারা একই এলাকার আজুবর রহমানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গতকাল বিকেলে এলাকার কদমশহর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ক্রিকেট খেলতে যায় তারা। খেলার প্রথম ভাগে শান্তরা ব্যাট করে। তারা দুজন অতিথি খেলোয়াড় নিয়ে প্রতিপক্ষ সাজুদের ১০৯ রানের টার্গেট দেন। ১০৯ রানের লক্ষ্যে মাঠে নামে সাজুর দল। খেলার এক পর্যায়ে শান্তর দলের অতিথি খেলোয়াড়ের ব্যাটটি চায় সাজু। ব্যাট দিতে অস্বীকৃতি জানায় শান্ত। এসময় শান্ত সাজুকে বলে দলের ক্যাপ্টেন ছাড়া ব্যাট দিতে পারবো না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মাঠেই বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ক্রিকেট স্ট্যাম্প নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে খেলা পণ্ড হয়ে যায় তাদের। সবাই মাঠ ছেড়ে চলে যায়।
পরে সন্ধ্যায় কদমশহর বাজার দিয়ে শান্ত ও ভাই স্বপন বাড়ি ফিরছিল। আর আগে থেকেই ওঁৎ পেতে ছিল সাজু ও মাজুরা। এসময় শান্ত ও স্বপন গেলে তাদের মারধর শুরু করে তারা। এক পর্যায়ে শান্তকে ছুরিকাঘাত করে সাজু ও মাজুর মধ্যে কেউ একজন। এসময় ধস্তাধস্তিতে ভাই স্বপনও আহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে সাজু-মাজুরা। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে পাঠালে শান্ত ও স্বপনকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শান্তর মৃত্যু হয়। এছাড়া স্বপন হাসপাতালটির চার নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।