ছাত্রীদের সঙ্গে ক্লাসে অশালীন আচরণের দায়ে মারধরের শিকার হয়েছেন এক শিক্ষক। শিক্ষকের নাম সাঈদুর রহমান বাবলু। সোমবার সকালে টাঙ্গাইল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। সাঈদুর রহমান বাবলু কালিহাতী উপজেলার পারখী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের বিভিন্ন ক্লাসের ছাত্রীদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে আসছিলেন ওই শিক্ষক। গত রোববার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দেয়। ওই দিনই সব ছাত্রীরা প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানায়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক মামুন তালুকদার অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো ছাত্রীদের স্কুল থেকে বের করে দেয়ার ভয় দেখান।
স্কুল ছুটির পর বিষয়টি ছাত্রীরা তাদের অভিভাবকদের জানায়। পরে সোমবার (০১ অক্টোবর) সকালে অফিস কক্ষে বিদ্যালয়ের সহকারী ইংরেজি শিক্ষক সাঈদুর রহমান বাবলুকে অবরুদ্ধ করে রাখে অভিভাবক ও ছাত্রীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে সাঈদুর কৌশলে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তা টের পেয়ে ছাত্রী ও অভিভাবকরা সাঈদুরকে ধরে বেদম পিটুনি দেয়। এতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই সাঈদুর রহমান বাবলু তাদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে আসছিলেন। কখনো কখনো কুপ্রস্তাবও দিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি একাধিকবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামুন তালুকদারকে জানানোর পরও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। এ নিয়ে রোববার সকালে তারা (ছাত্রী) ক্লাসে গেলে প্রধান শিক্ষক এসে তাদের স্কুল থেকে বের করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে সাঈদুর রহমানবাবলুর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই বলে জোর করে তাদের স্বাক্ষর নেন। পরে তারা সোমবার সকালে ক্লাস বর্জন করে ওই শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে। তারা সাঈদুর রহমান বাবলু ও প্রধান শিক্ষক মামুন তালুকদারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামুন তালুকদার জানান, তিনি কোনো ছাত্রীর কাছ থেকে স্বাক্ষর নেননি। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে সাঈদুর রহমানবাবলুকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান জানান, অভিযুক্ত শিক্ষককে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।