রাজধানীর সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেছেন, গত এসএসসিতে ১৩টি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল। আমরা যখন ছাত্রদের বলেছি, এইচএসসিতে প্রশ্ন ফাঁস হবে না, পরীক্ষার্থীরা এ কথা শুনে হাসত। কারণ তারা প্রশ্ন ফাঁসের মওকা নিয়ে পরীক্ষার হলে গিয়েছিল। ক্লাসের চেয়ে প্রশ্ন ফাঁসে আগ্রহ ছিল অনেক শিক্ষার্থীর। এইচএসসি পরীক্ষার সময় কোনো প্রশ্ন ফাঁস না হওয়ায় পাসের হার কমে গেছে। গতকাল এসব কথা বলেন তিনি। এইচএসসির ফল বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে এ অধ্যক্ষ আরও বলেন, গত কয়েক বছরে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ায় পরীক্ষার কোনো ভীতি ছিল না পরীক্ষার্থীদের।
কিন্তু হঠাৎ করেই প্রশ্ন ফাঁসের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হয়েছে। সরকারের কঠোর নীতির কারণে কোথাও প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। এ ছাড়া এইচএসসির ইংরেজি পরীক্ষা কঠিন হওয়ায় বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসায় নেতিবাচক ফল এসেছে। বিজ্ঞান বিভাগে পদার্থ দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্ন একটু জটিল হওয়ায় ছাত্ররা একটু খারাপ করেছে। ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আইসিটি বিষয়ে ছাত্ররা ভালো করলেও গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীরা আইসিটিতে ভালো করতে পারেনি। কারণ আইসিটির প্রয়োজনীয় শিক্ষক নেই গ্রামাঞ্চলে। অন্য বিভাগের শিক্ষকরা সেখানে আইসিটি পড়ান। মানবিকের ছাত্ররা গাণিতিক বিভিন্ন টার্মের কারণে বিজ্ঞান বিভাগ ছাড়লেও তাদের আইসিটি পড়তে হয়েছে। এই আইসিটি তাদের কাছে বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া পরীক্ষায় আইসিটির নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা একটু কঠিন হওয়ায় ফলাফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
সব মিলিয়ে পরীক্ষার পরিবেশ পরিবর্তন, প্রশ্নপত্র কঠোর আর প্রশ্ন ফাঁস না হওয়ায় ফলাফল নিম্নমুখী হয়েছে।
ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা আরও বলেন, ফাঁস হওয়া প্রশ্ন দেখে কৃত্রিমভাবে পাস আর জিপিএ-৫ পাওয়ার চেয়ে এবারের পাসের হার ও এ প্লাস কম হলেও সন্তুষ্ট আমরা। আমরা চাই এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক। পরীক্ষার এমন পরিবেশ থাকলে ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়ার মধ্যে থাকবে। লেখাপড়ার মান ফিরে আসবে।
সৌজন্যে: বাংলাদেশ প্রতিদিন