আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে ক্ষুদে ডাক্তারের মাধ্যমে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ফাইলোরিয়াসিস নির্মূল ও কৃমি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় প্রতিবছরই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষুদে ডাক্তারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এ কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের ওজন, উচ্চতা ও চোখের দৃষ্টিশক্তি নিরূপন করা হবে।
সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্ষুদে ডাক্তারের মাধ্যমে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে জেলা-উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষকদের জন্য নির্দেশনা জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
সূত্র জানায়, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের প্রধান শিক্ষকদের সাথে সমন্বয় সভায় আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষুদে ডাক্তারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে নির্দেশনা দিতে বলা হয়েছে। আর সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নিজ নিজ ক্লাস্টারের স্কুলগুলোতে ক্ষুদে ডাক্তারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়টি নিবিড়ভাবে তত্ত্বাবধান করতে বলা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্য পূরণ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে সরবরাহ করবেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা।
এছাড়া নতুন বছরের শুরুতে যেসব শ্রেণিতে ক্ষুদে ডাক্তার টিম গঠন করা হয়নি সেসব শ্রেণিতে টিম গঠন করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সংক্রান্ত লিফলেট বিতরণ ও লিফলেটের তথ্য শিক্ষার্থীদের করতে বলা হয়েছে প্রধান শিক্ষকদের। এছাড়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মসূচিতে সম্পৃক্দ করতে বলা হয়েছে।
যদি কোনো স্কুলে ওজন মাপার যন্ত্র, উচ্চাতা মাপার ফিতা বা দৃষ্টি শক্তি মাপার চার্ট না থাকে সেক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকদের স্লিপ পরিকল্পনার আওতায় নূন্যতম পক্ষে একটি করে ডিজিটাল ওজন মাপার যন্ত্র ও প্রতি শ্রেণির জন্য উচ্চতা মাপার ফিতা ও একটি আই চার্ট সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবেন।
আর সকল সরকারি প্রাইমারি স্কুলসহ পিটিআই পরীক্ষণ বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত স্কুল, রক্স পরিচালিত আনন্দ স্কুলগুলোকে এ কর্মসূচির আওতায় আনতে হবে। এছাড়া প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্যচমেন্ট এরিয়ার ঝরে পড়া ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের বিদ্যালয়ে এনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার চেষ্টা করতে হবে।