খাদ্যমন্ত্রীর জামাতা অধ্যাপক রাজনের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক |

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের বড় মেয়ের জামাই ও শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেন্টাল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাজন কর্মকারের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকেরা হৃদরোগের কথা জানালেও তা মানতে রাজি নন স্বজন ও সহকর্মীরা। 

ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডের বাসা থেকে স্কয়ার হাসপাতালে নেয়ার পর রাজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এ ঘটনার পর সহকর্মীরা স্কয়ার হাসপাতালে ছুটে যান। রহস্যজক মৃত্যু দাবি করে সুষ্ঠু ময়নাতদন্তের দাবি জানান তারা। 

রাজনের চাচাত ভাই অভি সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের সন্দেহ তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। আমরা তার লাশের ময়নাতদন্ত করাতে চাই।”

রাজনের মামা সুজন কর্মকারও ময়নাতদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর কারণ জানতে চেয়েছেন। রাজনের সহকর্মীরা যারা স্কয়ার হাসপাতালে ছিলেন, তারাও সাংবাদিকদের বলেন, তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চান।

শেরে বাংলা থানার ওসি জানে আলম বলেন, যেহেতু দুই পক্ষ থেকে দুই রকম বক্তব্য এসেছে, তাই লাশ কাউকেই দেওয়া হচ্ছে না। ময়নাতদন্তের পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

খাদ্যমন্ত্রীর বড় মেয়ে ডা. কৃষ্ণা মজুমদারের স্বামী ডা. রাজন কর্মকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ওরাল অ্যান্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তার স্ত্রী কৃষ্ণাও বিএসএমএমইউর চিকিৎসক।

এই চিকিৎসক দম্পতির বাসা ঢাকার ইন্দিরা রোডে। সেখান থেকে রোববার ভোররাতে রাজনকে স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, ডা. রাজন মারা গেছেন।

এরপর হাসপাতালে রাজনের বাবার ও শ্বশুর বাড়ির পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বাদানুবাদ। রাজনের বাবার পক্ষ চায় লাশের ময়না তদন্ত হোক, অন্যপক্ষ তাতে আপত্তি জানাচ্ছিল।

শেরে বাংলা থানার ওসি জানে আলম বলেন, “স্কয়ার হাসপাতালের ডাক্তাররা বলেছেন, ডা. রাজনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তবে যেহেতু বিভিন্ন অভিযোগ এসেছে, এজন্য ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার  বলেন, “ বিকালে লাশ পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ কাউকে দেওয়া হবে না।”

রাজনের পরিবার থানায় অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029768943786621