ভারতের হুগলিতে ডিআরডিও পরিচয়ে একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ঢুকে আতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগে অভিযুক্ত যবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের কাছে পাওয়া পিস্তলটি নকল বলে পুলিশ জানিয়েছে। বর্তমানে সে জেল হেফাজতে রয়েছে। শুক্রবার (৯ আগস্ট) সংবাদ প্রতিদিনি পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
ঘটনার সূত্রপাত ২৬ জুলাই৷ এই দিন কোন্নগরের একটি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের প্রিন্সিপাল বিশ্বরূপ দাসকে ফোন করে ডিআরডিও বলে নিজের পরিচয় দেন জনৈক অরিজিৎ মেটে নামে এক ব্যক্তি৷ রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে প্রিন্সিপালকে তিনি জানান, তাঁর স্কুলের তিন শিক্ষক এবং এক কর্মীর বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের অভিযোগ আছে৷ তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও আছে৷ বলা হয়, কম্পিউটারের হার্ড ডিস্কের মাধ্যমে মহম্মদ নাসিম নামে এক কর্মী স্কুলের সমস্ত তথ্য অন্যত্র পাচার করছে৷ তাই হার্ড ডিস্ক বদলে না ফেললে সমূহ বিপদের কথাও শোনান ওই ব্যক্তি৷ বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের মোবাইলের সিম কার্ড বদলে ফেলার নির্দেশ দেন৷
এরপর অরিজিৎ মেটে নামে ওই যুবক একদিন স্কুলে গিয়ে তদন্ত করেন, জিজ্ঞাসাবাদও করেন৷ বেশ কয়েকবার তিনি স্কুলে যান৷ মঙ্গলবারও গিয়েছিলেন স্কুলে৷ প্রিন্সিপালের সঙ্গে কথা বলার সময়ে সিসিটিভিতে তাঁর ছবি ধরা পড়ে৷ তাতে আরেক শিক্ষক দেখতে পান, ওই ব্যক্তির ট্রাউজারের পকেট থেকে উঁকি মারছে পিস্তল৷ তা দেখে আতঙ্কিত ওই শিক্ষক উত্তরপাড়া থানায় ফোন করে সবটা জানান৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অরিজিৎকে গ্রেফতার করে৷ তারপরই গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হয়৷
জানা গিয়েছে, অরিজিৎ মেটে দেড় বছর আগে এই স্কুলে অঙ্কের শিক্ষক ছিলেন৷ পরে ছেড়ে অন্য স্কুলে যোগ দেন৷ তবে এই স্কুলের মহম্মদ নাসিম নামে এক কর্মীর সঙ্গে অরিজিতের ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল৷ তাই সে বদলা নিতে ডিআরডিও’র নাম করে পরিকল্পনা করে৷ কিন্তু শেষমেশ পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যায়৷ ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়ায় স্কুলে৷ এমনকি দুজন শিক্ষিকা পদত্যাগও করেন৷ আপাতত অরিজিৎ জেল হেফাজতে৷ স্কুলের পঠনপাঠন স্বাভাবিক থাকলেও, থমথমে সামগ্রিক পরিবেশ৷