গাছ কাটার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পাবনার চাটমোহর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার বিকেলে পাবনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আবু সালেহ্ মো. সালাহ্উদ্দিন খাঁ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
কলেজের শিক্ষকরা দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, চাটমোহর সরকারি কলেজের বেশকিছু পুরোনো গাছ কাটার অভিযোগে অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে একই কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. আবদুল মান্নান বাদি হয়ে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর পাবনার আমলী আদালত-৪ এ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন আদালত। তৎকালীন ইউএনও সরকার অসীম কুমার তদন্ত করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
তার প্রেক্ষিতে আদালত দন্ডবিধির ৩৭৯/৪০৬/৪২০ ধারায় অপরাধ আমলে নেন এবং সমন জারি করেন। কিন্তু সমনের নির্ধারিত তারিখে হাজির না হওয়ায় অধ্যক্ষ মিজানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করেন আদালত। এর মধ্যে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর অধ্যক্ষ মিজান উচ্চ আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করলে বিচারক ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন প্রদান করেন এবং জামিনের মেয়াদ শেষে পাবনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
২৫ জানুয়ারি (শনিবার) উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হলে রোববার (২৬ জানুয়ারি) পাবনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন মিজান। পরে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনানি শেষে নথি পর্যালোচনা করে অধ্যক্ষ মিজানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
পাবনা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী সাজ্জাদ ইকবাল লিটন এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। কলেজটির সব শিক্ষক ও কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা উল্লাস প্রকাশ করেছেন বলেও জানা যায়।
গত কয়েকমাস ধরে অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে মানবন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন শিক্ষক অভিভাবকরা।
আরও পড়ুন
চাটমোহর কলেজ অধ্যক্ষের সঙ্গে দালাল আতাউরের রহস্যময় বৈঠক
অধ্যক্ষ মিজানের অপসারণ দাবিতে উত্তাল চাটমোহর